আল্লাহ কাউকে দুনিয়াতে পাঠারনোর আগে তার মাতৃগর্ভেই সকল কিছু নির্ধারন করে দেন

আবার আল্লাহ চাইলে তা পরিবর্তনও করতে পারেন। আমরা যেমন কর্ম করি আল্লাহ আমাদের তেমনই ফল দেন,যদিও আল্লাহ জানেন দুনিয়াতে কে কি করবেন তবু আল্লাহ আমাদের দুনিয়াতে পাঠান। যেন আমরা আমাদের ভাল মন্দ দিকটাকে বুঝে শুনে চলতে পারি এবং দুনিয়ার সকল খারাপ কাজ থেকে দূরে থেকে আল্লাহর পবিত্রতা প্রকাশ করি আর আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী করে যেন আমরা জান্নাত লাভ করতে পারি। আল্লাহ মহান তাই আল্লাহ আমাদের দুনিয়া দেখার জন্য সুযোগ দিয়েছেন.....।

আবূ আব্দির রহমান আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন— রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম— যিনি সত্যবাদী ও যার কথাকে সত্য বলে মেনে নেয়া হয়— তিনি আমাদেরকে বলেছেন:
          
তোমাদের সকলের সৃষ্টি নিজের মায়ের পেটে চল্লিশ দিন যাবৎ শুক্ররূপে জমা হওয়ার মাধ্যমে শুরু হতে থাকে, পরবর্তী চল্লিশ দিন জমাট বাঁধা রক্তরূপে থাকে, পরবর্তী চল্লিশ দিন মাংসপিণ্ড রূপে থাকে, তারপর তার কাছে ফিরিশ্তা পাঠানো হয়। অতঃপর সে তার মধ্যে রূহ প্রবেশ করায় এবং তাকে চারটি বিষয় লিখে দেয়ার জন্য হুকুম দেয়া হয়- তার রুজি, বয়স, কাজ এবং সে কি সৌভাগ্যবান না দুর্ভাগ্যবান।

অতএব, আল্লাহর কসম-যিনি ছাড়া আর কোন সত্য ইলাহ্ নেই-তোমাদের মধ্যে একজন জান্নাতবাসীর মত কাজ করে[1]– এমনকি তার ও জান্নাতের মধ্যে মাত্র এক হাত ব্যবধান থাকে, এ অবস্থায় তার লিখন তার উপর প্রভাব বিস্তার করে বলে সে জাহান্নামবাসীর মত কাজ শুরু করে এবং তার ফলে তাতে প্রবেশ করে।

এবং তোমাদের মধ্যে অপর এক ব্যক্তি জাহান্নামীদের মত কাজ শুরু করে দেয়- এমনকি তার ও জাহান্নামের মধ্যে মাত্র এক হাত ব্যবধান থাকে, এ অবস্থায় তার লিখন তার উপর প্রভাব বিস্তার করে বলে সে জান্নাতবাসীদের মত কাজ শুরু করে আর সে তাতে প্রবেশ করে।

            [বুখারী: ৩২০৮, মুসলিম: ২৬৪৩]

বিশেষ ফজিলতপূর্ণ কিছু আয়াত ও দোয়া

বিভিন্ন ধরনের বালা-মুসিবত দূর করার আমল
দোয়া: لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ

উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ্ জালিমীন।

অর্থ: আপনি ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই। আমি আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। অবশ্যই আমি পাপী। -সূরা আল আম্বিয়া: ৮৭

ফজিলত
ক. এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, আমি নবী ইউনুসের প্রার্থনা মঞ্জুর করেছি। তাকে দু:খ থেকে মুক্তি দিয়েছি। অনুরূপভাবে যে মুমিনরা এ দোয়া পড়বে আমি তাদেরও বিভিন্ন বালা-মুসিবত থেকে মুক্তি দিব। -সূরা আল আম্বিয়া: ৮৮

খ. হজরত নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি হজরত ইউনুস (আ.)-এর ভাষায় দোয়া করবে, সে যে সমস্যায়ই থাকুক আল্লাহতায়ালা তার ডাকে সাড়া দিবেন। -তিরমিজি: ৩৫০৫

গ. হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও ইরশাদ করেছেন, আমার ভাই ইউনুসের দোয়াটি খুব সুন্দর। এর প্রথম অংশে আছে কালিমায়ে তায়্যিবা। মাঝের অংশে আছে তাসবিহ। আর শেষের অংশে আছে অপরাধের স্বীকারোক্তি। যে কোনো চিন্তিত, দু:খিত, বিপদগ্রস্থ ব্যক্তি প্রতি দিন এ দোয়া তিন বার পাঠ করবে আল্লাহতায়ালা তার ডাকে সাড়া দিবেন। -কানজুল উম্মাল: ৩৪২৮

আমল: কঠিন বালা-মুসিবত দূর করার জন্য বর্ণিত দোয়া বা আয়াতটি এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পাঠ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে, ওই দোয়া হয়।

শিশুর জিদ দূর করার আমল
দোয়া:
أَفَغَيْرَ دِينِ اللَّهِ يَبْغُونَ وَلَهُ أَسْلَمَ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ طَوْعًا وَكَرْهًا وَإِلَيْهِ يُرْجَعُونَ

উচ্চারণ: আফাগাইরা দীনিল্লাহি ইয়াবগুনা ওয়ালাহু আসলামা মান ফিস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদি তাউআউ ওয়া কারহান; ওয়া ইলাইহি ইয়ুরজাঊন।

অর্থ: তারা কি আল্লাহর দেয়া জীবন ব্যবস্থার পরিবর্তে অন্য জীবন ব্যবস্থা তালাশ করছে? নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে স্বেচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক তার অনুগত হবে। সবাই তার কাছে ফিরে যাবে। -সূরা আল ইমরান: ৮৩

ফজিলত: যে ব্যক্তির সন্তান বা প্রাণী তাকে কষ্ট দেয়, সে যেন তার কানে সূরা আল ইমরানের ৮৩ নং আয়াত পড়ে। -আল মুজামুল আউসাত লিত্ তাবারানি: ৬৪

আমল: সন্তানের অতিরিক্ত জিদ থাকলে, কথা না শোনলে, কথা না মানলে প্রতিদিন ৭ বার সন্তানের কপালের উপরিভাগের চুলে হাত রেখে এ আয়াতখানা পাঠ করে তার চেহারা ও কানে ফুঁ দিলে- জিদ কমে আসে। এ আমল নূন্যতম ২১ দিন লাগাতার করতে হয়।

শ্রেষ্ঠ দোয়া
দোয়া: رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্ দুনইয়া হাসানাহ্, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাহ্। ওয়াকিনা আজাবান্নার।

অর্থ: হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে সুখ দান কর, আখেরাতেও সুখ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। -সূরা আল বাকারা: ২০১‍ৎ

ফজিলত: এ দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়ে থাকে। নবী করিম (সা.) এ দোয়াটি সবচেয়ে বেশি পাঠ করতেন।

বিশিষ্ট তাবেয়ি হজরত কাতাদাহ (রহ.) সাহাবি হজরত আনাসকে (রা.) জিজ্ঞাসা করলেন, নবী করিম(সা.) কোন দোয়া বেশি করতেন? উত্তরে সাহাবি হজরত আনাস (রা.) উপরোক্ত দোয়ার কথা জানালেন। তাই হজরত আনাস (রা.) নিজে যখনই দোয়া করতেন- তখনই দোয়াতে এই আয়াতকে প্রার্থনারূপে পাঠ করতেন। এমনকি কেউ তার কাছে দোয়া চাইলে তিনি তাকে এ দোয়া দিতেন। -সহিহ মুসলিম: ৭০১৬

হজরত আনাস (রা.) আরও বলেন, আল্লাহতায়ালা এ দোয়ায় দুনিয়া ও আখেরাতের সকল কল্যাণ ও জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের প্রার্থনা একত্রিত করে দিয়েছেন।

দ্বীনদার স্ত্রী লাভের আমল
দোয়া: رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا

উচ্চারণ: রাব্বানা হাবলানা মিন আজওয়াজিনা ওয়া জুররি-ইয়্যাতিনা কুররাতা আয়ুনিওঁ-ওয়াজআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা।

অর্থ: হে আমার প্রভু! স্ত্রী ও সন্তাদের দ্বারা আমার চোখ শীতল কর। আমাকে পরহেজগারদের আদর্শ কর। -সূরা ফোরকান: ৭৪

আমল: যারা বিয়ে করেননি তারা প্রত্যেক নামাজের (তা ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, নফল যে কোনো নামাজ হোক) শেষ বৈঠকে দোয়ায়ে মাছূরা পড়ার পর কোরআনে বর্ণিত এই আয়াতখানা পাঠ করে সালাম ফিরাবেন। বিয়ের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে এ আমল করলে আশা করা যায়, আল্লাহভক্ত দ্বীনদার, পরহেজগার ও আদর্শ স্ত্রী জুটবে।

আর যারা বিয়ে করেছেন তারা স্ত্রী ও সন্তানদের দ্বীনদার করার জন্য, তাদের আদর্শবান করে গড়ে তোলার জন্য- প্রতিবার দোয়ায় এ আয়াত আয়াত পাঠ করলে বিশেষ উপকার লাভ হয়।

রিজিক বৃদ্ধির আমল
দোয়া: اللَّهُ لَطِيفٌ بِعِبَادِهِ يَرْزُقُ مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ الْقَوِيُّ الْعَزِيزُ

উচ্চারণ: আল্লাহু লাতীফুম্ বি-ইবাদিহি ইয়ারজুকু মাইয়্যাশায়ু, ওয়া হুয়াল কাভিয়্যুল আজিজ।

অর্থ: আল্লাহতায়ালা নিজের বান্দাদের প্রতি মেহেরবান। তিনি যাকে ইচ্ছা রিজিক দান করেন। তিনি প্রবল, পরাক্রমশালী। -সূরা শুরা: ১৯

আমল: যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে, একনিষ্ঠতার সঙ্গে ৭০ বার এ আয়াত পড়বে, সে সর্বদা রিজিকের সঙ্কট থেকে হেফাজতে থাকবে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির আমল
স্মৃতিশক্তির দুর্বলতার কারণে অনেক শিক্ষার্থীকেই নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী নিজে অথবা তার পিতা-মাতা প্রতিদিন প্রত্যেক নামাজের পর সূরা আলাম নাশরাহ পড়ে তার বুকে ফুঁ দিবে। সূরা পাঠ করার শুরু ও শেষে একবার করে দরূদ শরিফ পড়বে। যদি শিক্ষার্থী সমঝদার হয়, তবে প্রতিবার পড়তে বসার সময়, প্রত্যেক ক্লাসের শুরুতে, শিক্ষার প্রতিটি আসরের শুরুতে আগে-পরে দরূদ শরিফসহ এ সূরা পড়ে নিজের বুকে ফুঁ দিবে। যে নিয়মিত এ আমল করবে, আল্লাহর রহমতে তার স্মৃতিশক্তি বাড়বে।

নোট: যে কোনো আরবির বাংলা উচ্চারণ লেখায় মূল উচ্চারণ অনেকাংশেই ব্যহত হয়। এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হলো, বর্ণিত এসব দোয়া আপনার নিকটস্থ মসজিদের ইমাম-খতিব বা ভালো কোনো আলেমের কাছ থেকে শিখে নিবেন।

বান্ধবীকে ইমপ্রেস করতে পারফিউম নয়, রসুন ধরুন, কিন্তু কেনো ? বিস্তারিত দেখুন

নামী-দামি সুগন্ধি মেখে ‘ফার্স্ট ডেটিং`-এ যাচ্ছেন? কিম্বা ‘শেভ` করে ব্র্যান্ডেড আফটার শেভ লোশন লাগিয়ে বেরোলেন? ভাবছেন বান্ধবী ‘ইমপ্রেস` হবে? নামী সুগন্ধি দিয়ে বান্ধবীকে ইমপ্রেস করতে পারবেন কি না বলা সম্ভব নয়, কিন্তু যা দিয়ে নিশ্চিত রূপে প্রেমিকাকে কাছে পাবেন তা হল `রসুন`৷ চোখ কপালে উঠল?

এই তথ্য কিন্তু দিচ্ছেন গবেষকরা৷ তাও রীতিমতো সমীক্ষা চালিয়ে৷ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রসুন পুরুষরা খেলে, ঘামে বের হয় একরকম গন্ধ৷ সেই গন্ধই মহিলাদের আকর্ষণ করে৷

চেক রিপাবলিকের চালর্স ইউনিভার্সিটি ও স্কটল্যান্ডের স্টিরলিঙ ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক ৪২ জন পুরুষ ও ৮২ জন মহিলার মধ্যে সমীক্ষা চালান৷ পুরুষদের তিনটি দলে ভাগ করে তাদের বিভিন্ন পরিমাণ রসুন খাওয়ানো হয়৷

প্রথমে দুই কোয়া রসুন পাঁউরুটি ও চিজের মাধ্যমে একদল পুরুষকে খাওয়ানো হয়৷ তাতে বিশেষ কোনো গন্ধ পাওয়া যায়নি৷ কিন্তু বড় চার কোয়া রসুন একজন পুরুষকে একেবারে খাওয়াতেই তার ঘামে অন্যরকম গন্ধ বের হতে থাকে৷

মহিলাদের দিয়ে বিভিন্নভাবে তা পরীক্ষা করানো হয়৷ তাতেই মহিলাদের প্রতিক্রিয়া, ওই গন্ধ সুন্দর ও যথেষ্ট আকর্ষক৷ এতে অন্যরকমের ভাললাগা তৈরি হয়৷ আবার একদল পুরুষকে চারকোয়া রসুনের পরিমাণে (১২ গ্রাম) রসুন ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়৷ দেখা যায়, তাদের ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফল অনেক বেশি৷

শুধু তাই নয়, গবেষকরা জানাচ্ছেন রসুন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ৷ এতে রয়েছে ‘অ্যাণ্টি ব্যাকটিরিয়াল`, ‘অ্যাণ্টিবায়োটিক`, ‘অ্যাণ্টি ফাঙ্গাল` উপাদান৷ যা ঠাণ্ডা লাগা আটকাতে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে৷ ‘অ্যাণ্টি ফাঙ্গাল` , ‘অ্যাণ্টি ব্যাকটিরিয়াল` উপাদান থাকায় রসুন শরীরের দুর্গন্ধ প্রতিরোধেও সহায়ক৷

তাই এখন থেকে মেয়েদের ইমপ্রেস করতে সুগন্ধি সরিয়ে খান রসুন৷বাড়তি পাওনা, এতে পয়সাও বাঁচবে আর শরীরও ভালো থাকবে।

ভালবাসার টিপস____®

প্রাথমিক বিষয় গুলো
১.দৈহিক সৌন্দর্যের বিষয়ে সচেতন
হোন:একজোড়া মানবমানবী সর্বপ্রথম
আকৃষ্ট হয় দৈহিক সৌন্দর্যে। দৈহিক
সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েই প্রেমিকের হৃদয়ে
প্রেমের বীজ অঙ্কুরিত হয়। অতএব প্রেমে
সাফল্য চাইলে কিংবা বর্তমান প্রেম কে
ধরে রাখতে চাইলে চেহারা সুরতের দিকে
একটু নজর দেয়া লাগবে।
২.পোশাক আশাকে বৈচিএ্য বজায় রাখুন:
প্রেম করতে চাইলে টাকা পয়সা তো একটু
করচ করাই লাগবে। এখানে শর্টকাট কোনো
রাস্তা নেই। কম দামে ফুটপাত থেকে
কাপড় কিনে প্রেমিকার চোখ ধাঁধাঁ
লাগাবেন? সে আশা বৃথা। আপনি কোনদিন
কোন শার্ট টি পরেছেন বা কোন রং এর
শার্ট পরেছেন এটা আপনার চেয়ে আপনার
প্রেমিকা ভালো বোলতে পারবে আসলে
পোশাক আশাক দ্বারা একগজন পুরুষের
রোমান্টিকতা প্রকাশ পাই জা বিপরীত
লিঙ্গকে আকর্ষণ করে
৩.গোপনিয়তা বজায় রাখুন: আপনাদের
সম্পর্কের কথা গোপন রাখুন। এতে
আপনাদেরি মঙ্গল আসবে।
৪.দুই নৌকায় পা দিবেন না:প্রেম প্রেম
খেলা করার মানসিকতা অনেক তরুণ তরুণীর
থাকে। এছাড়া অনেকে একাধিক সঙ্গির
সাথে সম্পর্ক বগায় রাখার চেষ্টা করে।
ফলে এদের মধ্যে প্রকৃত ভালোবাসার সুখ
খুব কম থাকে। একধিক প্রেম চালিয়ে
যাওয়াকে অনেকে খুব বাহাদুরী কাজ বলে
মনে করে থাকে। কিন্তু তাদের মনে রাখা
উচিত আসলে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস
করটেছে। কারণ সত্য বেশিদিন গোপন
থাকেনা।
৫.প্রশংসা করুন: মানুসের মন আর্কষণ করার
জন্য তা প্রশংসা করার গুরুত্ব আপরিসীম।
এর মাধ্যমে মৌমাছির মতো আপনার
চারপাশের মানুসকে আপনার দিকে আকৃষ্ট
করতে পারেন।
প্রেম করার পূর্বে
কনফার্ম হো্ন ছেলে-মেয়ে কি একই
ধর্মের।
সমসাময়িক বয়সের হলে প্রেম এভয়েড করুন
(বিয়ের পর চাকরি, ইগো, সন্তান ইত্যাদি
নিয়ে সমস্যা তৈরি হয় )।
ছেলে-মেয়ে ভাই-বোন এর লিস্টে কত নম্বর
এবং তাদের বৈবাহিক অবস্থা জেনে নিন।
(উদাহরণঃ ছেলে ৩ ভাইদের মধ্যে ছোট এর
মেয় ২ বোন এর মধ্যে বড়। পাশ করার পর
মেয়ের বিয়ের তাড়াহুড়ো শুরু হবে কিন্তু
ছেলের বড়ভাইদের বিয়ে না হয়ে থাকলে…
লাগলো গ্যাঞ্জাম)।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ! নিজের অর্থনৈতিক-
সামাজিক অবস্থার বাইরে প্রেম করতে
যাবেন না (মধবিত্ত ছেলে আর
উচ্চমধ্যবিত্ত মেয়ে…… বিয়ের পর জীবন
শেষ)।
নিজের এলাকা দেখে প্রেম করুন
(সামাজিক কারনে অনেক জটিলতা তৈরি
হয়)।
ছেলেকে বা মেয়েকে নিজের বোনদের
সাথে পরিচয় করিয়ে দিন,(সংসারে
বোনরা একটা বড় ডিসিশন মেকিং পারসন,
বিয়ের আগে ও পরে)।
প্রেম আবেগের বশবর্তী হয়ে বাস্তবতা
ভুলে যাবেনা, পস্তাতে হবে।
বিয়ের পরের লাইফ নিয়ে আলাপ করুন,
আপনার নিজের এবং পরিবারের
(ছেলেদের বিশেষ করে) সব লিমিটেশন,
সিচুয়েশন, সদস্যদের মানসিকতা ইত্যাদি
নিয়ে আলাপ করুন। জটিলতা বিয়ের পর
তৈরি হয়ার চেয়ে ইনিশিয়াল স্টেজে
প্রেম ভেঙ্গে যাওয়া ভালো।
মেয়েদের আকৃষ্ট করার ১০ টিপস
সব পুরুষই চায় মেয়েরা তার প্রতি আকর্ষিত
হোক । তবে সবাই আকর্ষণ করতে পারে না ।
এইদশটি বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হলে
সহজেই নারীরা কারও প্রতি আকর্ষণ অনুভব
করবে ।
এক. চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন ।
আলাপের সময় তার দেহের দিকে
তাকাবেন না । এতে আপনার প্রতি তার
বিরূপ ধারণা তৈরি হবে ।
দুই. পরিপাটি থাকুন । নারীরা সব সময় তার
সঙ্গীর পরিপাটি ও সুগন্ধময় পরিধেয়
ভালবাসেন ।
তিন. তাকে সহায়তা করুন । মেয়েরা সবসময়
সহযোগীদের প্রতি আকৃষ্ট হয় । যেমন কোট
পরিধানে হাত বাড়িয়ে দিন । নারীর
সেবায় উদার হোন ।
চার. তার বন্ধুদের প্রতি সামাজিক হোন ।
তাদের নিজের মতো আপন করে নিন ।
মেয়েরা সামাজিক ও মিশুকদের প্রতি
আকৃষ্ট হয় ।
পাঁচ. একসঙ্গে থাকাবস্থায় ফোন পরিহার
করার চেষ্টা করুন । ফোনে কথা বলার সময়
বোঝাতে চেষ্টা করুন আপনি তার প্রতি
মনোযোগী । তার প্রতি আপনার পূর্ণ
আকর্ষণ রয়েছে ।
ছয়. তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করুন বিশেষত তার
সম্পর্কে । মেয়েরা সব সময় তার ব্যাপারে
আলোচনা পছন্দ করে । যেমন তার ভাল
লাগা, প্রিয় জিনিস ইত্যাদি ।
সাত. কোথাও প্রবেশের সময় আগে গিয়ে
দরজা খুলে তাকে স্বাগতম জানান । এ
বিষয়টি নারীদের ভীষণ প্রিয় । যেমন
গাড়িতে উঠবার সময় নিজে গিয়ে দরজা
খুলে দিন বা রেস্টুরেন্টে বসার সময়
চেয়ারটা টেনে দিন ।
আট. তার অ্যাপেয়ারেন্সের প্রশংসা করুন
। যেমন তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে । এ
পোশাকে তোমাকে ভাল মানায় ইত্যাদি ।
নয়. তার থেকে পরামর্শ নিন । যেমন কোন
কাজ শুরু করার আগে মতামত চাওয়া । এতে
সে ভাববে আপনি তাকে গুরুত্ব দেন ।
দশ. তার ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরুন ।
যেমন তোমাকে হাসিখুশি মনে হয় ।
তোমার সব কাজই ভাল হয় । তুমি অনেক
পজিটিভ ইত্যাদি ।
এগুলোর প্রতি মনোযোগী হলে মেয়েরা
আপনার প্রতি ইতিবাচক হবে আকর্ষণ অনুভব
করবে ।
যে ৫ টি বিষয় একজন নারীকে অতুলনীয়
সুন্দর করে তোলে
যে কোন নারী তার নিজের সৌন্দর্য নিয়ে
সবসময় খুব চিন্তিত থাকেন। কারণ নারীরা
সবসময়ই মনে করেন আমি কি দেখতে সুন্দর?
আবার অনেকেই মনে মনে বলে থাকেন যে
আমি দেখতে একটুও ভালো না! কিন্তু এই
ধরণের ধারণা গুলো শুধু আপনার মনে প্রভাব
ফেলে না এর সাথে আপনার জীবনেও
প্রভাব ফেলে। যেমন ধরুন কোন নারী যখন
নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখেন
তখন তারা তাদের মনের অজান্তেই
বিভিন্ন অসম্পূর্ণতার কথা ভাবেন. আর একটু
যদি চিকন হতাম, আর একটু যদি ফর্সা হতাম,
চুল গুলো যদি আরও সুন্দর হত এই ধরণের
বিভিন্ন চিন্তা নারীদের মনে প্রায়ই উকি
দিয়ে থাকে। কিন্তু সুন্দর কিংবা অসুন্দর
মানেই ভালো একজন মানুষ নয়। মানুষ সুন্দর
হয় তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দিয়ে, তার
সুন্দর ব্যবহার দিয়ে। জানতে চান
আপনাকে কোন বিষয়গুলো অতুলনীয় সুন্দর
করে তুলতে পারে? চলুন তবে জেনে নেয়া
যাক।
আপনার ভালো ব্যবহার
মানুষ হিসেবে আমরা সবাই সবার কাছ
থেকে ভালো ব্যবহার আশা করে থাকি।
আপনি নিজে একবার ভেবে দেখুনতো কেউ
যদি আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার করে
আপনার কেমন লাগবে? নিশ্চয়ই ভালো
লাগবে না এবং সেই মানুষটি যতই সুন্দর
হোক না কেন তার কোন সৌন্দর্যই আপনার
চোখে ধরা পরবে না। তাই প্রতিটি
মানুষকেই আমরা বিচার করে থাকি তার
সুন্দর ব্যবহার দিয়ে। যেই মানুষটির ব্যবহার
যত ভালো মানুষ হিসেবে সে ততো বেশি
সুন্দর ও আলোকিত।
আপনার আত্মবিশ্বাস
আত্মবিশ্বাস এমন একটি জিনিস যা একটি
নারীকে আরও বেশি সুন্দর করে তোলে।
নিজের উপর নিজে ভরসা করা থেকে মহৎ
অন্য কিছু হতেই পারেনা। আপনি আপনার
জীবনে যেই ধরণের অবস্থায় থাকুন না কেন
আপনার এই আত্মবিশ্বাস আপনাকে কখনোই
কোন কিছুতে হেরে যেতে দেবে না। আর
হেরে গেলেও তা আপনাকে সামনের পথে
এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। তাই নিজের
প্রতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন দেখবেন
আপনার মনে হবে আপনি যথেষ্ট সুন্দর।
আপনার ভালোবাসা
নিজেকে ভালোবাসা ও পাশের
মানুষগুলোকে ভালোবাসার মত আনন্দের
এই পৃথিবীতে অন্য কিছু নেই। আপনি যখন
আপনার পরিবারের মানুষগুলোকে
নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবাসবেন তখন
দেখবেন আপনার মনে অন্য রকম এক আনন্দ
বিরাজ করবে। ভালোবাসা যে শুধু মানুষের
জন্যই প্রযোজ্য তা কিন্তু নয় আপনি
ভালবাসতে পারেন আপনার বাড়ির ছোট্ট
সবুজ গাছগুলোকেও কিংবা পোষা
প্রাণীটিকেও। আপনার এই আদরে মাখা
ভালবাসাময় ব্যক্তিত্ব সবাইকে আকর্ষণ
করবে, সবাই আপনাকে নিয়ে কথা বলবে।
আর তখনই আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি
কতটা সুন্দর।
আপনার চোখ
কথায় আছে, “চোখ মনের কথা বলে” এই
কথাটি আসলেই সত্যি। কারন আমরা একটি
মানুষের চোখ দেখলেই বুঝতে পারি সে
কেমন। কারণ প্রতিটি মানুষের চেহারায়
তার ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠে। সুন্দর চোখের
অধিকারী অনেকেই কিন্তু সুন্দর চোখ
থাকলেই কিন্তু সুন্দর হওয়া যায়না। তাই
আপনার মনে যা থাকবে ঠিক তাই আপনার
চোখেও ভেসে উঠবে।
আপনার হাসি
আপনি কি জানেন আপনার সুন্দর একটি
হাসি সবার মনে জাদুর মত কাজ করে।
আপনার সুন্দর হাসিতেই প্রকাশ পায় আপনি
কতটা সুন্দর ও বিনয়ী। তাই মন খুলে হাসুন।
যখন নিজের হাসিকে আড়াল করে রাখবেন
তখন নিজেই নিজের কাছে অস্পষ্ট হয়ে
যাবেন। আপনি কি তা আপনি নিজেও
বুঝতে পারবেন না। তাই সুন্দর হাসি দিয়ে
সবসময় সুন্দর থাকুন।
পুরুষের যে মেয়েলী গুণগুলো নারীর চোখে
অনেক বেশি পছন্দনীয়
পুরুষেরা নারীদের থেকে পুরোপুরি
আলাদা ধরণের। পুরুষের চিন্তা ভাবনা,
কাজকর্ম সব কিছুই ভিন্ন থাকে নারীদের
থেকে। কিন্তু এরপরও কিছু বিষয় থাকে তা
এই স্বাভাবিক নিয়ম থেকে ব্যতিক্রম।
কিছু মেয়েলী ধরণের কাজ ও গুণ যদি
পুরুষের মধ্যে থাকে তাহলে তিনি
নারীদের চোখে অনেক আনকমন, আকর্ষণীয়
ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে উঠেন। হয়তো
ছেলেরা অনেকেই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব
দেবেন না, কিন্তু তারপরও কিছু মেয়েলী
গুন্সম্পন্ন পুরুষ আসলেই অনেক বেশি
আকর্ষণীয় অন্য দশজন সাধারণ পুরুষের
তুলনায়।
১) ঘর গুছিয়ে রাখা
মেয়েরা নিজের ঘর সংসার অনেক যত্ন
করেই সাজিয়ে গুছিয়ে রাখেন। কিন্তু
পুরুষের মধ্যে এই গুনটি খুব বেশি চোখে
পড়ে না। পুরুষেরা একটু অগোছালো
থাকতেই বেশি পছন্দ করেন যা মেয়েদের
কাছে খুব বেশি পছন্দ নয়। তাই ঘর গুছিয়ে
রাখার এই বিষয়টি যদি পুরুষের মধ্যে
থাকে তবে তা নারীর চোখে পুরুষটিকে
অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে।
২) রান্না করতে জানা
অনেক নারীই মনে মনে এমন পুরুষ খুঁজে
থাকেন যিনি কিছুটা হলেও রান্না করতে
পারেন। প্রতিদিন নয় অন্তত তাকে একটি
সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য পছন্দের কিছু
রান্না করে সামনে এনে দিলেই নারীরা
অনেক বেশি খুশি হয়ে যান। আর তাই
মেয়েলী এই গুনটি পুরুষের মধ্যে থাকলে
তিনি হয়ে উঠেন আকর্ষণীয়।
৩) বাচ্চাদের সাথে সময় কাটানো
পুরুষেরা নিজের সন্তানের সাথে বেশি
সময় কাটাতে পারেন না একেবারেই।
সারা সপ্তাহ অফিসের কাজে ছুটোছুটি
এবং ছুটির দিনে হয়তো অন্য কাজে ব্যস্ত
থাকা। সন্তানদের মায়েরাই বেশি সময়
দিয়ে থাকেন। সেকারণেই নারীরা চান
পুরুষেরাও সন্তানকে সময় দিক। তাই
বাচ্চাদের সাথে সময় কাটানোর মতো এই
গুনটি নারীর চোখে অনেক আকর্ষণীয়।
৪) বাইরের কাজ ব্যতীত ঘরেই থাকা
মেয়েরা ছোটবেলা থেকেই ঘরে বেশি
থাকেন পুরুষের তুলনায়। কিন্তু পুরুষেরা
একেবারেই ঘরে সময় কাটাতে চান না।
বাইরেই বেশি থাকতে চান। কিন্তু
অতিরিক্র প্রয়োজন ব্যতীত বাইরে সময়
কাটানো পুরুষ নারীদের পছন্দ নন। কারণ
নারীরা চান প্রয়োজন না থাকলে পছন্দের
মানুষটি ঘরে থেকেই তাকে সময় দিক।
৫) বিশেষ মুহূর্তগুলোতে চা/কফি বানিয়ে
দেয়া
একটু মাথা ব্যথা অথবা খুব ক্লান্ত লাগছে
কিংবা খুব সুন্দর একটি বিকেল এই সময়
সঙ্গীর হাতের এক কাপ চা/কফি অনেক
বেশি কার্যকরী। প্রায় ঔষধের মতো কাজ
করে। পুরুষেরা হরহামেশাই এই বিশেষ
সময়গুলোতে স্ত্রীর হাতের চা/কফি পেয়ে
থাকেন। কিন্তু উল্টোটা বেশ কমই ঘটতে
দেখা যায়। আর তাই এই বিরল গুণ সম্বলিত
পুরুষেরাই নারীদের চোখে আকর্ষণীয়।
৬) পরিষ্কার পরিছন্ন থাকা
অনেক সময়েই নারীরা পুরুষের অপরিষ্কার
থাকা নিয়ে অভিযোগ করে থাকেন, একই
কাপড় না ধুয়ে বারবার পরা, হাত পায়ের
নখ বড় হয়ে যাওয়া, টয়লেট ব্যবহার করে
ফ্লাশ না করা ইত্যাদি। যে সকল পুরুষেরা
অনেক পরিষ্কার ও ফিটফাট থাকতে পছন্দ
করেন তারাই অনেক বেশি আকর্ষণীয় বলে
মনে করেন মেয়েরা।
নতুন সম্পর্কের টান
নতুন সম্পর্কে বিশ্বাসী আমরা, পুরনোকে
ভুলে যাই। তাই মাঝে মাঝে নতুন সম্পর্কের
ভিড়ে কেন জানি সেই পুরনো সম্পর্কগুলো
হারিয়ে যায়… সম্পর্ক মানেই কিছু আবেগ,
অনুভূতি আর অদৃশ্যময় বন্ধনের আবদ্ধতা।
আমরা কেউই সে আবদ্ধতার বাইরে নই।
জীবনের প্রয়োজনে কিছু আধো ছেঁড়া
সম্পর্কও তাই আমাদের মেনে নিতে হয়।
মেনে নিতে হয় সম্পর্কের লাঞ্ছনা-
বঞ্চনাসহ আরও কত কী!
তাই তো অবস্থানভেদে সম্পর্কের
সংজ্ঞাও অনেক হয়। কখনও কখনও সম্পর্ক
একপ্রকার মায়া। সে মায়া আমরা কখনোই
কাটিয়ে উঠতে পারি না। পারি না সে
অদৃশ্য বন্ধনের অদৃশ্য সব গিঁট খুলে দিতে।
এতদসত্ত্বেও সম্পর্কের কিছু টান বেশিদিন
টিকে থাকে না। আবার একেবারে ছিঁড়েও
যায় না। তবুও দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা
সম্পর্কে কিছু পরিবর্তন আসে। সেই সঙ্গে
নতুন নতুন সম্পর্কের বিষয়ে টান আসে। নতুন
সম্পর্কের আড়ালে এক সময় পুরনো সম্পর্ক
আকাশের গাঢ় মেঘের আড়ালে লুকিয়ে রয়।
নতুনের ডাকে আমাদের মাঝে পুরনো
সম্পর্কের অদৃশ্য দেয়াল তৈরি হয়। এদের
কেউ হারাতে হারাতে একবারে অভিমান
নিয়ে হারিয়ে যায়। নয়তো বদলায়। নিজের
জীবনশৈলীকে পাল্টায়। এত সম্পর্কতেও
পরিবর্তন আসেতে পারে। স্থায়ীভাবে
জোড়া লেগে যেতে পারে ধূসর হাওয়ার
সম্পর্কগুলো।
আমাদের চারপাশের যত সম্পর্ক রয়েছে
সবগুলোকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। এর
প্রথমটি পারিবারিক সম্পর্ক আর
দ্বিতীয়টি সামাজিক সম্পর্ক।
পারিপাশর্ি্বক বিবেচনায় বেঁচে থাকতে
এ দুটি সম্পর্কের প্রতিই আমাদের
শ্রদ্ধাশীল হতে হবে বলে মনে করেন,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল
বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের মনোরোগ
বিশেষজ্ঞ (এমবিবিএস, এমডি-
সাইকিঅ্যাটরি) ডা. ওয়াসিমা রহমান।
তিনি বলেন, আমাদের মাঝে কিছু সম্পর্ক
রয়েছে যা ভেঙে ফেলাই ভালো। যেমন
পরিবার বা বন্ধুদের মধ্যে কেউ যদি
নেশাগ্রস্ত হয়, সে ক্ষেত্রে সম্পর্ক ভেঙে
ফেলাই ভালো। তবে সম্পর্কটি ভাঙার
আগে তাকে সুস্থ পথে ফেরানোর চেষ্টা
করা উচিত। সম্পর্ক আড়াল যদি আমার
থেকেই হয়, তবে তার সব দায় আমারই_ এটা
স্বাভাবিক।
তাই প্রথমেই আমাকে যে বিষয়টা খেয়াল
রাখতে হবে তা হলো, পরিবার বা
সামাজিক কোনো সম্পর্কের গুরুত্বটা
আমার কাছে বেশি। ওই মুহূর্তে যে
সম্পর্কটা মেনে চলা উচিত, তখন আমাকে
সেদিকেই আগে যেতে হবে। আমাদের
সমাজে বিয়ের মাধ্যমে বাবা-মায়ের
সঙ্গে সম্পর্কের আড়াল বেশি সৃষ্টি হয়।
তাই এক্ষেত্রে প্রয়োজনটার গুরুত্ব বেশি
দিতে হবে। ব্যস্ততার মাঝেও নিজেকে
সময় দিতে হবে। বাবা-মা, ছেলেমেয়ে
এমনকি স্ত্রীকেও সময় দিতে হবে।
পারিবারিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে এই
নিয়মের বাইরে কখনোই কিছু নয়। তবে
সম্পর্কের বাইরের আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-
প্রতিবেশীকে যতটুকু সম্ভব সময় দিতে হবে।
মনে রাখতে হবে আমাদের চারপাশের সব
সম্পর্ক আমাদের নতুন করে বেঁচে থাকার
একেকটি উপাদান। সম্পর্ক বিষয়টি দ্বৈত।
এর এক পাশ আড়াল হবে তো অন্য পাশ
জেগে উঠবে। তাই কখনো যদি মনে হয়,
‘আমাকে কেউ আড়াল করতে চাইছে’ তখন
নিজেরও কিছু করার থাকতে পারে।
প্রথমেই বুঝতে হবে যার দ্বারা সম্পর্ক
আড়াল হচ্ছে সে কী আদৌ তা ইচ্ছা করে
করছে, নাকি আপনার প্রতি তার মাঝে
কোনো ভুল ধারণা জন্ম নিয়েছে? এমন কিছু
প্রশ্ন যদি আপনার মনে জাগে সে ক্ষেত্রে
আপনি তাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করতে
পারেন কেন সে এমনটি করছে। সে যদি
ব্যস্ততার প্রসঙ্গ তোলে তাহলে তা নিয়ে
আপনাকেই ভাবতে হবে। তার ব্যস্ততায়
আপনাকেই সম্পর্কের হাল টেনে ধরতে
হবে। আপনাকে নিয়ে তার মধ্যে কোনো
বিরূপ ধারণা জন্মালে আপনার দ্বারাই সে
মুখোশ উন্মোচন করতে পারেন। এতে সম্পর্ক
থাক বা না থাক আপনার প্রতি অন্তত তার
ভুল ধারণার অবসান ঘটবে। মনে রাখবেন,
সম্পর্কের টান যদি দু’দিক থেকেই ছিঁড়ে
যায় তবে তা জোড়া লাগানো বেশ কঠিন
হয়ে দাঁড়াবে।
পছন্দের সঙ্গী পাওয়ার ৯টি উপায়
আপনার কি বন্ধু বা বান্ধবী আছে, নাকি
ব্রেকআপ হয়ে গেছে? নাকি কেউ নেই?
কিংবা আপনি কি নতুন কারো সন্ধানে?
নতুন সঙ্গী পেতে হলে কি করতে হবে,
বিশেষজ্ঞদের দেয়া সেরকমই কিছু টিপস
থাকছে আজকে।
যারা একা থাকেন তাঁদের জীবন অনেকটা
নিরানন্দে কাটে৷ তারপর যদি হয় শীতকাল
তাহলে কষ্টের মাত্রা আরো বেড়ে যায়৷
একজন সুস্থ মনের মানুষ একজন সঙ্গী
কামনা করবেন সেটাই তো স্বাভাবিক,
তাইনা? তবে মনের মতো একজন সাথী
পাওয়া যে খুব সহজ ব্যাপার নয় সেকথা
প্রাপ্ত বয়স্করা ভালো করেই জানেন৷ তবে
নিয়ম জানা থাকলে সঙ্গী পাওয়া সহজ হয়৷
সেরকমই কিছু টিপস দিয়েছেন মনোরোগ
বিশেষজ্ঞ ডাঃ এফা ব্লোডারেক৷
নিজের কাছে কিছু প্রশ্ন
প্রথমেই ভাবতে হবে আপনার কেন সঙ্গী
নেই বা পুরনো সম্পর্ক কেন শেষ হয়ে
গেলো? অতীতে কি ভুল করেছেন এবং
সেখান থেকে আপনি কি শিখেছেন? আর
এখন কেমন সঙ্গী চান? নিজের হৃদয়ের
কাছে এসব প্রশ্ন করুন৷ আর এই প্রশ্নের
উত্তরগুলোই নতুন সঙ্গী পেতে অনেক
সাহায্য করবে৷
ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলুন
আপনি নারী বা পুরুষ যেই হোন না কেন
প্রথমেই প্রয়োজন নিজের প্রতি গভীর
ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা৷ নিজের
ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলুন৷ নিজের গুণ এবং
যোগ্যতা সম্পর্কে সচেতন হোন৷ অর্থাৎ
নিজের ভেতরের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে
ভাবুন৷
স্বপ্নের মানুষ
স্বপ্নের মানুষ কিন্তু আপনার দরজায় এসে
‘নক’ করবেনা৷ কাজেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে
যেয়ে সবার সাথে মেলামেশা করুন৷ আপনি
সঙ্গী খুঁজছেন সেকথা মাথায় ‘না’ রেখেই
সহজভাবে কথা-বার্তা বলুন৷ নিজের হবি
বা ভালো লাগার কথাও শেয়ার করতে
পারেন সবার সাথে৷ কাছের বন্ধুদের
সাথেও এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন, হয়তো
তারা আপনাকে সহযোগিতা করবে৷
মিডিয়ার সাহায্য
শোনা যায় অনেকেই আজকাল
ইন্টারনেটের মাধ্যমে সঙ্গী খোঁজেন, কেউ
পান আবার কেউ পাননা৷ তাছাড়া এ
সম্পর্কে নানা নেতিবাচক গল্পও শোনা
যায়৷ এসব কথায় সেভাবে কান না দিয়ে
নিজে সচেতনভাবে খোঁজখবর রাখতে
পারেন৷ সামাজিক গণমাধ্যমে অনেকে
জীবন সঙ্গী পেয়েছেন এবং সুখী হয়েছেন
– এটাও কিন্তু দেখা গেছে গত কয়েক
বছরে৷ কাজেই মন চাইলে এগিয়ে যান৷
কারণ যোগাযোগের জন্য কোনো
মাধ্যমতো লাগবেই৷
সহজ থাকুন
সঙ্গীর সাথে প্রথম দেখা হলে ভয় বা
নার্ভাস না হয়ে একেবারে সহজ থাকুন৷
প্রথমদিনই এমন কোনো প্রশ্ন করবেন না
যাতে আপনার সঙ্গী বিব্রত বোধ করেন৷
প্রথম দেখায় কিছুটা ভালো লাগলে বরং
পরে কবে দেখা হবে সেই দিন তারিখ ঠিক
করে নিন৷ বেশি সিরিয়াস বিষয় নিয়ে
কথা না বলে বরং ভ্রমণ, সিনেমা, বই,
কিংবা রেস্তোরাঁর গল্প করতে পারেন৷
সাবধান, কোনভাবেই প্রথমদিনই অসুখ-
বিসুখ, টাকা পয়সা, ধর্ম বা রাজনীতির
কথা নয়!
হাসতে নেই মানা!
অনেক নারী, পুরুষই পরিচয় পর্বকে কিছুটা
‘মানসিক চাপ’ বলে মনে করেন এবং
ভাবেন তাদের সঙ্গীকে মুগ্ধ করার জন্য
বিশেষ কিছু দেখাতে বা করতে হবে৷
আসলে তেমন কিছু করার প্রয়োজনই নেই৷
বার্লিনের মাক্স-প্লাংক ইনস্টিটিউটের
এক গবেষণায় দেখা গেছে, মুখে একটু হাসি
রেখে আর আড়ষ্ট না থেকে শরীরের সহজ
চালচলই যথেষ্ট৷
অন্যজনকে গুরুত্ব দিন
আপনার উল্টো দিকে যিনি বসে আছেন
তাঁর প্রতি আগ্রহ দেখান, নিজে কথা বলার
চেয়ে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন৷ এমন
প্রশ্ন করুন যেন তার উত্তর শুধু হ্যাঁ বা না,
না হয়৷ যেমন প্রশ্ন হতে পারে, আপনি অন্য
শহর ছেড়ে এখানে এসেছেন কেন?
একটু সেকেলে
দিন বদলে গেছে, সময় পাল্টেছে, একথা
ঠিক৷ তারপরও কিন্তু কে পুরুষ, আর কে নারী
তা প্রথমদিন মনে রাখাই শ্রেয়৷ এই
প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের ভাষা অনেকটা
এরকম, ‘‘আগামী সপ্তাহে দেখা হলে কেমন
হয়?’’ একথা না বলে, বলা যেতে পারে,
‘‘আজকের সন্ধ্যাটা খুব সুন্দর কাটলো,
এরকম দিন রিপিট হলে আমার দিক থেকে
কোনো অসুবিধা নেই৷’’ অর্থাৎ এসব কথা
একটু সেকেলে হলেও অসুবিধা নেই বরং
এতে ভদ্রতার প্রকাশ ঘটে৷
আশাবাদী
আগে থেকে যতটা খুশি বা আনন্দিত
ছিলেন, দেখা বা কথা হওয়ার পর তা না
হলে মন খারাপ করার কিছু নেই৷ আশা
ছেড়ে না দিয়ে, ভালোবাসার আসল মানুষ
পেতে অপেক্ষা করুন, ধৈর্য্যহারা হবেন
না৷ কারণ হৃদয়ের জন্য ‘শেষ তারিখ’ বলে
কিছু নেই৷ তাছাড়া হৃদয়ের ত্বকে কিন্তু
বলিরেখা পড়েনা৷ ভালোবাসা চিরসবুজ,
যেভাবে যত্ন করবেন, সেভাবেই থাকবে৷
৭টি টিপস প্রেম করার লাজুক ও নার্ভাস
ছেলেদের জন্য
লজ্জা নারীর ভূষণ হলেও পৃথিবীতে লাজুক
বা মুখচোরা ছেলে কিন্তু একেবারেই কম
নেই। বরং অল্প বয়সে মেয়েদের সাথে কথা
বলতে বা মিশতে গেলে বেশিরভাগ
ছেলেই খুব নার্ভাস অনুভব করেন। চোখে
চোখ রেখে কথা বলতে না পারা,
এলোমেলো কথা বলে ফেলা, হাত পা
কাঁপা, ঘন ঘন ঘামতে থাকা ইত্যাদি অনেক
রকম উপসর্গই দেখা দেয় অনেকের মাঝে।
ফলে একজন প্রেমিকা খুঁজে পাওয়া যেন
রীতিমত কঠিন একটি কাজে পরিণত হয়।
অনেকে তো মেয়ে বন্ধুও তৈরি করতে
পারেন না। এমনই লাজুক ও নার্ভাস ধরণের
ছেলেদের জন্য প্রেম করার ৭টি কার্যকরী
টিপস!
১) মেয়েদের সাথে বাস্তবে কথা বলতে
গেলে খুবই নার্ভাস লাগে? বুঝে পান না
যে কী কথা বলবেন আর কীভাবে বলবেন?
বাস্তবে কথা বলার দরকার নেই, বন্ধুত্ব
পাতিয়ে ফেলুন ইন্টারনেটে। গল্প করুন,
আড্ডা দিন, যা যা বলতে ইচ্ছা করে বলুন।
এটা ইন্টারনেট, তিনি আপনাকে খেয়ে
ফেলবেন না। চ্যাট থেকে আস্তে আস্তে
ভিডিও চ্যাটে যান, এতে জড়তা কাটবে।
তারপর না হয় মুখোমুখি দেখা করুন।
২) নিজের চেহারা ও লুকের দিকে বাড়তি
মনযোগ দিন। নিজেকে পোশাক-আশাক ও
চলন বলনে স্মার্ট করে তুলুন। যত স্মার্ট হয়ে
উঠবেন, লাজুক ও নার্ভাস ভাবটি তত কমে
যাবে।
৩) আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজে নিজে
কথা বলে অভ্যাস করুন। ধরে নেবেন যে
সামনে একজন নারী আছেন কিংবা
আপনার পছন্দের মেয়েটি। তাঁকে কল্পনা
করে বারবার রিহারসেল করুন যে কী
বলবেন আর কীভাবে বলবেন।
৪) মেয়েদের সামনে গেলে মাথা
এলোমেলো হয়ে যায়? কিছুই ঠিকমত বলতে
পারেন না? মনের কথা সুন্দর করে বলার
জন্য আশ্রয় নিন চিঠি বা ই-মেইলের।
৫) ডেটিং করতে গেলে খুবই নার্ভাস
লাগে? যেহেতু আপনি মুখচোরা ধরণের,
সেহেতু এমন জায়গায় ডেটিং করতে যান
যেখানে মানুষ কম। একটা ছিমছাম
রেস্তরাঁয় মুখোমুখি দুজনে বসলে বেশ
লাগবে।
৬) তার সামনে গেলেই নার্ভাস হয়ে যান,
জড়সড় হয়ে যান, কথা খুঁজে পান না বলার
মতন? ডেটিং করতে গিয়ে তাঁকে বলতে
দিন। মেয়েরা এমনিতেই কথা বলতে বেশ
ভালোবাসে। বলতে না পারলে একজন
ভালো স্রতা হয়ে উঠুন। তাঁকে তাঁর
জীবনের ব্যাপারে প্রশ্ন করতে পারেন।
তাঁর কথার জের ধরে নানা রকম প্রশংসা
সূচক কথাও বলতে পারেন।
৭) দেখা হলে বুঝে পান না কীভাবে কথা
শুরু করবেন? খুব সাধারণ একটি কথা বলুন-
“তোমাকে আজ খুব সুন্দর লাগছে বা এই
পোশাকটি তোমাকে খুব মানিয়েছে”। এই
ধরণের প্রশংসায় যে কোন নারীরই মন
দ্রবীভূত হয়ে যাবে। তাঁকে খুশি করার জন্য
আপনাকে খুবই বেশি চেষ্টা করতে হবে না।
প্রথম দেখায় প্রেমে পরেছেন? ভাবুন
দ্বিতীয়বার
অনেকেরই কল্পনাবিলাস থাকে প্রথম
দেখায় প্রেমে পড়া নিয়ে। অনেকেই
ভাবেন সত্যিকারের প্রেমে মনে হয়
এমনটাই ঘটে! এমন ঘটাটাই যেন মনে হয়
জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি! আর যাঁদের
এ অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁরা এর মহত্ত্ব
প্রচারে উচ্চকণ্ঠ। কেউ বলেন, ‘ওকে দেখেই
আমার মনে হয়েছিল ও আমার!’ আবার কেউ
বলেন, ‘প্রথম দেখাতেই জেনেছিলাম
আমরা—দুজনে দুজনার!’ সত্যের জন্য প্রস্তুত
হন। ভালোবাসার ভ্রমরটাকে একটু সময়
নিতে দিন। কে জানে প্রথম দেখাতেই
সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললে বাকি জীবনভর
হয়তো এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিতীয়বার না
ভাবাটাই আপনাকে ভাবাবে! এক
প্রতিবেদনে টিএনএন এমনটাই জানিয়েছে।
বিষয়টা কি একপেশে?
আপনি তো প্রথম দেখাতেই ‘প্রেমে পড়ে
গেলেন’ কিংবা অন্য ভাষায় বললে,
‘প্রেমে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন।’
কিন্তু একে ‘প্রেম’ নামে ডাকার আগে
একবার ভেবে নিন প্রিয়মুখের মানুষটা
আপনার এই অনুভূতি কীভাবে গ্রহণ করবেন।
‘বন্ধু’ হয়ে থাকতে চাইলে বন্ধু হয়েই থাকুন
না! প্রেম নিয়ে তাড়াহুড়োর কী আছে?
এই কি প্রেম?
প্রেম-পাখি নিশ্চয়ই চির দিন অধরাই
থেকে যায় না! কিন্তু প্রেম প্রেম ভাব
হওয়া আর প্রেম হওয়া তো এক কথা না। যাঁর
প্রেমে পড়েছেন বলে মনে করছেন তাঁকে
নিয়ে ভাবার আগে নিজেকে নিয়ে
আরেকটু ভাবুন। অনেক কিছুই তো হতে পারে
প্রেমের কাছাকাছি কিন্তু প্রেম নয়!
আজকাল অনেকেই যেমন বলেন থাকেন—
হার্ট থ্রব! ক্রাশ! আর কাউকে দেখে একটা
মোহের ঘোরে তো পড়তেই পারেন, হোক তা
মানসিক বা শারীরিক আকর্ষণ থেকে।
জল দেখে ঝাঁপ দিন
জলে ঝাঁপ দেওয়ার আগে জলের চরিত্রটা
জেনে নিন। জল গভীর হলে তো বেঁচেই
গেলেন! সাঁতার না জানলে গভীর জলে
তো ডুবতেই পারেন। কিন্তু সে জলে ডোবা
হাঁটুপানিতে ঝাঁপ দিয়ে মাথা ফাটানোর
চেয়ে ভালো! যে মানুষটিকে পেতে
চাইছেন তাঁকে চেনার জানার চেষ্টা করুন।
জীবনটা তো আর হলিউড-বলিউডের
রোমান্টিক কমেডির মতো স্ক্রিপ্ট মেনে
চলে না তাই জীবনের হিসেব নিয়ে বসুন।
ঠোকাঠুকিটা পার করুন
প্রেমে পড়লে নাকি লোকে অবলীলায় মধু
মনে করে বিষও পান করতে পারে! আর
প্রথম প্রথম তো সবকিছুই ভালো লাগে।
স্বভাবের দোষ-ত্রুটিগুলোও তখন চোখে
পড়ে না। কিন্তু টুকিটাকি একটা কিছু
নিয়ে ঠোকাঠুকি তো লেগেই যেতে পারে।
দেখুন এই ঠোকাঠুকিটা কীভাবে পার হয়।
যদি সত্যিই একে অন্যের দোষ-ত্রুটি মেনে
নিয়েই পরস্পরকে গ্রহণ করতে পারেন,
তাহলে আপনারা সত্যিই ভাগ্যবান। বুঝতে
হবে আপনারা আসলেই প্রেমের জোয়ারে
ভাসতে যাচ্ছেন।
অতীত এড়াবেন না
আপনার মতোই আপনার প্রেমিক কিংবা
প্রেমিকারও একটা অতীত আছে।
অতীতটাকে এড়ানোর কিছু নেই। খোলা
চোখে দেখে বিষয়টা বুঝে নিন। অন্ধের
মতো নয়, জেনেশুনে সেটা মেনে নিন। একে
অন্যের সঙ্গে নিজেদের অতীতের কথা,
সুখ-দুঃখের কথা ভাগাভাগি করে নিন।
সঙ্গীকে বিচার করতে নয়, নিজেদের
বোঝাপড়াটা আরও বাড়াতেই তা করুন।
কেন ভালোবাসেন জানুন তা
নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, আপনি কেন
তাঁকে ভালোবাসেন? এবার তাঁকেও
জিজ্ঞেস করুন, তিনি কেন আপনাকে
ভালোবাসেন? এমনও তো হতে পারে
আপনারা পরস্পরকে এর মধ্য আরও
ভালোভাবে আবিষ্কার করবেন। আর তিনি
না বললে আপনি হয়তো জানতেনই না
আপনার সেই গুণের কথা, যে জন্য তিনি
আপনাকে ভালোবাসেন! এই বোঝাপড়াটা
দরকার।
বাস্তবতা আশা-নিরাশার চেয়ে বড়
কোনো কিছুই যখন ঠিকঠাক কাজ করে না
তখন একদল লোক নিরাশায় ডুবে যান
আরেক দল লোক কেবলই আশাবাদী হয়ে
খালি স্বপ্ন দেখতে থাকেন। কিন্তু এই
আশা বা নিরাশার চেয়ে বাস্তবটাকে
ভালোভাবে জানা বোঝা জরুরি। কোনো
কিছুকেই ধ্রুব বা চিরায়ত বলে ধরে নেবেন
না। আপনি যদি নিজে সুখী না হন তাহলে
বুঝতে হবে আপনার সঙ্গীও আপনাকে নিয়ে
সুখে থাকবেন না। কেননা, নিজে সুখী না
হলে অন্যকে সুখী করা যায় না। সম্পর্কের
বাস্তব চেহারাটা ভালো করে দেখুন।
নিজের জীবন নিজেরই থাকে
ভালোবেসে তাঁকে ‘জান-প্রাণ’ ডাকতেই
পারেন! মনের মানুষ, প্রেমের মানুষ তো
তাই-ই। কিন্তু সাধু সাবধান, ভুলবেন না যে
নিজের জীবনটা সব সময় নিজেরই থাকে।
ফলে প্রেমের বাতাসে গা ভাসিয়ে
দিলেই চলবে না। নিজের জীবনের প্রতি
খেয়াল রাখা চাই। প্রেমের জোয়ারে
ভেসে গিয়ে নিজের লেখাপড়া,
ক্যারিয়ার, ভবিষ্যতের পথ থেকে যেন পা
পিছলে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
নইলে মধুচন্দ্রিমার সঙ্গে সঙ্গে প্রেম-
পাখিটাও আপনাকে ফেলে উড়ে যেতে
পারে।
যে ১০টি কারণে বেশী ভালো ছেলেরা
প্রেমিকা পায় না
ছেলেটি খুব ভালো। নম্র-ভদ্র স্বভাবের,
কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করে না,
লেখাপড়ায়ও ভালো। অন্যদিকে
ক্যারিয়ার সচেতন, মা-বাবার খেয়াল
রাখে, সমাজে সকলেই তাঁদেরকে ভালো
ছেলে হিসাবে জানে। একটু লক্ষ্য করলেই
দেখবেন যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই
ভালো ছেলেগুলোর প্রেমিকা হয় না। বা
প্রেমিকা হলেও সম্পর্ক স্থায়ী হয় না।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মন ভাঙার যন্ত্রণা
ছেলেটি একা বহন করে বেড়ায়। কেন হয়
এমন? সেই প্রশ্নের জবাব রইলো এই
ফিচারে।
১) গায়ে পড়া স্বভাব নেই
ভালো ছেলেরা শুধু মেয়ে কেন, কারো
সাথেই গায়ে পড়ে আলাপ করতে পারেন
না। এমনকি কেউ আলাপ করতে এলেও
অনেকেই নিজের মাঝে গুটিয়ে থাকেন।
ফলে তাঁদের পরিচিত মানুষের পরিধি হয়
অনেক কম। আর মেয়েদের সাথে পরিচয়ও হয়
কম।
২)তারা ছলকলা বোঝে না
প্রেম করতে ও কোন মেয়েকে প্রেমে
ফেলতে গেলে একটু কৌশল, একটু ছলকলা
জানতেই হয়। বলাই বাহুল্য যে ভালো
ছেলেরা এসব থেকে একশ হাত দূরে থাকেন
এবং এগুলো বোঝেনও না। প্রেমের সপ্ত
ছলকলা এদের রপ্তের বাইরেই থেকে যায়।
৩) ভালো ছেলেরা “বোরিং” হয়
মেয়েদের একটা চিরকালের আগ্রহ আছে
একটু খারাপ ছেলেদের প্রতি। তাঁদের
প্রেমিকা হওয়াকে মেয়েদের কাছে একটা
চ্যালেঞ্জ মনে হয়। অন্যদিকে ভালো
ছেলেদেরকে তাঁদের চোখে মনে হয়
“বোরিং”।
৪) মায়ের কথা মেনে চলে
বেশিরভাগ ভালো ছেলে মায়ের কথা খুব
শোনে। মায়ের পছন্দ ছাড়া বিয়ে করবো
না, কিংবা সব সিধান্তে মাকে শামিল
করে তারা। এই ব্যাপারটা বেশিরভাগ
মেয়ে পছন্দ করে না।
৫) ক্যারিয়ার নিয়ে বেশী সচেতন
বেশিরভাগ ভালো ছেলেই নিজের
লেখাপড়া ও ক্যারিয়ার নিয়ে খুব ব্যস্ত
থাকেন। আর এই সবের মাঝেই হারিয়ে যায়
প্রেম ও অন্যান্য ব্যাপার। যখন বুঝতে
পারেন, ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে।
৬) মিথ্যা বলতে পারে না
প্রেমের সম্পর্কে টুকটাক নির্দোষ মিথ্যা
থাকেই। নিজের সম্পর্কে একটু বাড়িয়ে
বলা, নিজেকে একটু হিরো সাজিয়ে
উপস্থাপন করা ইত্যাদি ভালো ছেলেরা
পারেই না একদম। ফোলে মেয়েরাও পটে
না সহজে।
৭) শুরুতেই সিরিয়াস হয়ে যায়
কারো সাথে প্রথম প্রথম ডেটিং-এই এই
ধরণের ছেলেরা খুব বেশী সিরিয়াস হয়ে
যায়। মেয়েটির ওপরে অধিকার ফলাতে
থাকে। আর এটাই সম্পর্কটাকে সামনে
এগোতে বাঁধা দেয়।
৮) প্রচণ্ড আবেগী হয়
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভালো ছেলেরা হয়
প্রচণ্ড আবেগী ও স্পর্শকাতর। এরা খুব
অভিমানী স্বভাবেরও হয়। তাই তুচ্ছ কারণে
এদের সম্পর্ক ভাঙে এবং নতুন সম্পর্ক হয়
না।
৯) খারাপ মেয়েদের খপ্পরে পড়ে
বেশিরভাগ ভালো ছেলেই সত্য ও মিথ্যার
মাঝে পার্থক্য বুঝতে পারে না। ফলে
তারা পুরুষ লোভী কিছু খারাপ মেয়েদের
খপ্পরে পড়ে। এবং অন্য মেয়েদের উপর
থেকেও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে।
১০) সম্পর্কভীতি কাজ করে
প্রেম করলে কী হবে? যদি বিয়ে না করতে
পারি? বাসায় জানলে কী হবে? কীভাবে
প্রপোজ করবো… সম্পর্ক নিয়ে ইত্যাদি
হরেক রকম ভীতি কাজ করে অনেকের
মনেই। আর এর ফলে তাঁদের প্রেম করাটাই
হয়ে ওঠে না
সম্পর্কে চিরকাল মধুরতা ধরে রাখতে
চাইলে যে ৬ টি কথা প্রতিদিনই সঙ্গীকে
বলবেন
সম্পর্ক কতোকিছুই তো হয়ে থাকে। রাগ,
দুঃখ, অভিমান, ভালোবাসা, আনন্দ,
সহানুভূতি, সহমর্মিতা সব কিছু মিলিয়েই
ভালোবাসার সম্পর্ক। এইসকল আবেগ
প্রকাশের জন্য আমরা সঙ্গীকে কতো কথাই
না বলে থাকি। মাঝে মাঝে এমনসব
কোথাও বলে ফেলি যা বলা উচিত হয় নি
একেবারেই। কিন্তু ভুলে যাই জরুরী এবং
গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলতে। কিছু কথা মনের
মাঝে না রেখে প্রকাশ করে দেয়া উচিত
সঙ্গীর কাছে। এবং অন্তত একটিবার হলেও
প্রতিদিনই জানিয়ে দেয়া উচিত সঙ্গীকে।
‘আমি তোমাকে বিশ্বাস করি’
সম্পর্কের মূল জিনিসটিই হলো বিশ্বাস।
সঙ্গীর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস আপনার সঙ্গীর
আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলবে অনেকখানি।
এবং আপনাদের সম্পর্কও হবে মজবুত। একে
ওপরের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারলে
ছোটোখাটো সমস্যায় সম্পর্কে টানাপোড়ন
একেবারেই আসে না।
‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’
দুজনেই দুজনকে ভালোবাসেন এবং দুজনেই
সেকথা জানেন। তবুও দিনে অন্তত
একটিবার সঙ্গীর চোখে চোখ রেখে
মমতামাখা কণ্ঠে বলুন কথাটি। এতে করে
কোনো কারণে আপনাদের মধ্যে
মনোমালিন্য বা অভিমান থেকে থাকলেও
নিমেষেই দূর হয়ে যাবে।
‘তুমি আমার জীবনের সবচাইতে সঠিক
সিদ্ধান্ত’
আপনার জীবনে সঙ্গী কতোখানি গুরুত্ব
রাখেন তা বোঝানোর সবচাইতে সহজ
উপায় হচ্ছে এই কথাটি। এতে করে সঙ্গী
নিজের প্রতি বিশ্বাস খুঁজে পাবে এবং
সেই সাথে নিজে থেকেই সম্পর্কের প্রতি
দায়িত্ববান হবেন। সম্পর্ক দুপক্ষ থেকেই
থাকবে মধুর।
‘আমি সবসময় তোমার পাশে আছি’
সঙ্গী কোনো ব্যাপারে চিন্তিত কিংবা
কষ্ট পেলে নয়। এই কথাটি প্রতিদিনই
জানান তাকে যে আপনি তার পাশে
সবসময় আছেন। এতে করে আপনার সঙ্গী
বিনা দ্বিধায় সবকিছু আপনার কাছে
শেয়ার করবে এবং আপনার প্রতি
আস্থাবান হবেন। সম্পর্ক হবে দৃঢ়।
‘তুমিই সব থেকে ভালো’
সঙ্গীকে জানান তিনি যেমন আছেন,
যেভাবে চলেন এবং যা চিন্তা করেন তা
অন্যদের থেকে আলাদা। সঙ্গীর ভালো
কাজগুলোর প্রশংসা স্বরূপ প্রতিদিনই এই
কথাটি বলতে পারেন। এতে করে সঙ্গীর
আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং ভালো
কাজগুলোর প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
‘আমি তোমাকে সম্মান করি’
সম্পর্কে ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের
পাশাপাশি থাকা উচিত একে ওপরের
প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা। যার প্রতি সম্মান
নেই তাকে মন থেকে ভালোবাসা অনেক
কঠিন। তাই আপনি আপনার সঙ্গীকে
কতোটা সম্মান করেন তা সঙ্গীকে বুঝিয়ে
দিন।
নিজেকে একজন সুখী পুরুষ করে তোলার
দারুণ কিছু মূলমন্ত্র
আজকালকার যুগে সুখের সংজ্ঞা
অনেকটাই যেন পাল্টে গিয়েছে। সুখ
নির্ধারণের মাপকাঠিও কেমন যেন বদলে
গিয়েছে। কীভাবে সুখী হওয়া যায় সে
প্রশ্নের উত্তরে শুধুমাত্র অর্থ-বিত্ত-
প্রতিপত্তির কথাই উঠে আসে। কিন্তু
আসলেই কি তাই? মোটেই নয়। সুখ হলো
সম্পূর্ণ মানসিক একটি ব্যাপার।
প্রশ্ন উঠতে পারে এমন যে, এই ফিচারে
শুধুমাত্র পুরুষদের কথা কেন বলা হয়েছে? এর
পেছনে কারণ আছে বৈকি! পুরুষেরা
স্বভাবতই একটু চাপা স্বভাবের হয়ে
থাকেন। নিজেদের আবেগ খুব বেশি
প্রকাশ করতে পারেন না। নারীরা
অনেকভাবেই আবেগ প্রকাশ করে হালকা
হয়ে যান, কিন্তু পুরুষের জন্য কাজটা বড়
কঠিন। আর যেহেতু সুখ একটি মানসিকভাবে
হালকা থাকার বিষয়, সেহেতু সুখী নারীর
চাইতে সুখী পুরুষের সংখ্যা একটু যেন কমই।
তবে কিছু কিছু কাজ পুরুষের মনে এই
শান্তিটুকু ফিরিয়ে দিতে সক্ষম।
অতিরিক্ত করে ফেলবেন না কোনো কিছুই
একজন পুরুষকে নিতে হয় পুরো পরিবারের
দায়িত্ব। এটি সত্যিকার অর্থেই অনেক বড়
একটি মানসিক চাপ। এই চাপের মধ্যে
থেকে একটু সুখ খুঁজে পাওয়া কষ্টকরই বটে।
তারপরও মনে রাখবেন অতিরিক্ত অর্থকড়ি
কিন্তু আপনাকে সুখ দেবে না। আপনি সুখী
তখনই হবে যখন আপনার জীবনে সব কিছুর
ভারসাম্য বজায় থাকবে। অর্থের পেছনে
বেশি ছুটলে অনেক কিছুই হারাবেন, সেই
সাথে হারাবেন সুখও। তাই ভারসাম্য বজায়
রেখে কাজ করার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত
কোনো কিছুই করবেন না।
নিজের বন্ধুবান্ধব নির্বাচনে সতর্ক থাকুন
বন্ধু বান্ধব জীবনের অনেকটা অংশ জুড়েই
থাকে পুরুষের ক্ষেত্রে। অনেক ধরণের
সাপোর্ট বন্ধুদের কাছ থেকে পাওয়া যায়।
কিন্তু বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভুল
জীবনে দুঃখ নিয়ে আসে। সুসময়ের বন্ধুদের
পাল্লায় পড়লে জীবন থেকে একেবারে দূর
হয়ে যায় সুখ। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস
কমে যাওয়ার পেছনে এই ধরণের বন্ধুদের
অনেক বড় হাত রয়েছে। তাই বন্ধু
নির্বাচনের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। সুখী
হবেন।
শরীরের প্রতি যত্নবান হোন
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল কথাটি সকলেই
জানেন, কিন্তু মানেন না অনেকেই। বিশেষ
করে পুরুষেরা নিজেদের স্বাস্থ্যের
ব্যাপারে নজর বেশ কমই করেন। বাইরের
অস্বাস্থ্যকর খাবার নারীদের তুলনায় পুরুষ
বেশি খান। এছাড়া ধূমপান, মদ্যপানের
অভ্যাসও থাকে অনেক পুরুষের। এই সকল
জিনিস স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মনের
ওপরেও অনেক মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
মানসিক স্বাস্থ্য নষ্ট হয়। মন থেকে দূর হয়ে
যায় সুখ।
জীবনসঙ্গিনীকে তার প্রাপ্য সময় দিন
স্বামী বা প্রেমিক পুরুষের অনেক
অভিযোগ থাকে নিজের স্ত্রী বা
প্রেমিকা নিয়ে। স্ত্রী ও প্রেমিকাকে
নিজের অশান্তির কারণ বলে ধরে নেন
অনেকেই। কিন্তু আসলেই কি তাই? একটু
ভেবে দেখুন তো আপনার স্ত্রী বা
প্রেমিকা কি কারণে আপনার সাথে তর্ক
করছেন বা ঝগড়া করছেন? অথবা তিনি
আসলে কী চাইছেন? দেখবেন বেশীরভাগ
তর্ক বা ঝগড়ার মূল কারণ হচ্ছে আপনার
তার প্রতি কেয়ার না করা, সময় না দেয়া।
জীবনসঙ্গিনীকে তার প্রাপ্য সময় দিয়ে
দেখুন তো এই ছোটোখাটো
ব্যাপারগুলোতে আর তর্ক বাঁধে কিনা।
মনে ক্ষোভ বা দুঃখ পুষে রাখবেন না
বেশীদিন
কষ্ট পেলে কিংবা কারো দ্বারা
প্রতারিত হলে রাগ, ক্ষোভ এবং দুঃখ
পাওয়া যায়। কিন্তু মনের মধ্যে এইসকল
জিনিস পুষে রাখলে মানসিক স্বস্তি
একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। প্রতিশোধ
পরায়নতা এবং দুঃখবিলাসী হওয়া সুখী
মানুষের লক্ষণ নয়। পুরুষের মধ্যে এই
জিনিসগুলো নজরে বেশি পড়ে। কারণ পুরুষ
নিজেদের আবেগ প্রকাশ করতে পারেন না
এবং নিজের মনের কথাও কারো সাথে
সঠিকভাবে শেয়ার করেন না। কিন্তু যদি
সুখ চান তবে এই কাজটি বাদ দিন। মনে
ক্ষোভ বা দুঃখ পুষে রাখবেন না বেশীদিন।
নিজেকে স্মার্ট করতে গড়ে তুলুন
প্রতিদিনের ২৩টি অভ্যাস
এক রাতের মধ্যে কেউ স্মার্ট হয়ে যান না।
সচেতনভাবে প্রতিদিনের চর্চার মাধ্যমে
আপনি স্মার্টনেসকে অভ্যাসে পরিণত করে
ফেলতে পারেন আপনি। প্রতিদিনই
কীভাবে নিজেকে একটু স্মার্ট করে তুলতে
পারেন তা নিয়ে ২৩টি পরামর্শ দিয়েছেন
বিশেষজ্ঞরা। এগুলো একটু দেখে নিন।
১. যেকোনো নতুন ১০টি বিষয় প্রতিদিন
চিন্তা করে বের করুন। মূলত যতক্ষণ নিজের
মস্কিষ্কের কোষগুলোকে এসব চিন্তায়
ব্যস্ত রাখবেন আপনার ততোই লাভ।
২. প্রতিদিনই পত্রিকা পড়ুন। পৃথিবীর
চারদিকে কোথায় কী ঘটছেন তার খবর
রাখুন। এটা আপনাকে জ্ঞান দেবে।
৩. সম্প্রতি যা শিখেছেন তা নিয়ে চিন্ত-
ভাবনা করুন। এর পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি তুলে
ধরুন এবং বিশদ ব্যাখ্যার চেষ্টা করুন।
৪. ফিকশন বা নন-ফিকশন বইয়ের যেকোনো
একটি অধ্যায় পড়ার চেষ্টা করুন। এর
মাধ্যমে প্রতি দিনই নতুন কিছু শিখছেন
এবং একইসঙ্গে নতুন পাঠকদের সঙ্গে
সখ্যতা গড়ে উঠবে।
৫. শুধু বিনোদনমূলক টেলিভিশন অনুষ্ঠান
দেখার চেয়ে শিক্ষামূলক ভিডিওচিত্র
দেখুন। তাতে শেখার অনেক বিষয় রয়েছে।
৬. মজার এবং অদ্ভুত বিষয়ে তথ্য দেয় এমন
ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করুন। বিজ্ঞান,
সমাজ, প্রকৃতি ইত্যাদি বিষয়ে এসব তথ্য
দেখুন।
৭. প্রিয় জ্ঞান-বিজ্ঞান বিষয়ে তথ্যের
উৎসগুলো পর্যবেক্ষণ করুন। প্রতিদিন এক
পলক চোখ বুলান।
৮. যা শিখছেন তা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার
করুন। যদি এমন কাউকে পান যিনি
আলোচনা করতে চান, তবে তা মিস করবেন
না।
৯. দক্ষতা অর্জনে দুটো তালিকা করুন।
একটি বর্তমান কাজের প্রয়োজনে এবং
অপরটি ভবিষ্যতে যে সব বিষয়ে শিখতে
চান।
১০. যা যা করেছেন তার একটি তালিকা
করুন। এতে নিজের জ্ঞান সম্পর্কে
ওয়াকিবহাল থাকবেন আপনি। আরো
শেখার উৎসাহ বাড়বে।
১১. যা যা শিখছেন তথ্য আকারে তা লিখে
ফেলুন। তাহলে তথ্যটি স্থায়ীভাবে মাথায়
ঢুকে যাবে। এগুলো যেকোনো ব্লগে বা
নোটপ্যাডে লিখে রাখতে পারেন। অন্যের
সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন।
১২. মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে
প্রতিদিন মেডিটেশন করুন এবং ব্যায়াম
করুন। এতে যেকোনো কঠিন বিষয়ে মনটাকে
শান্ত এবং সবল রাখতে সহজ হবে।
১৩. অনলাইনে যেকোনো জরপ্রিয় কোর্স
করুন। দক্ষতা বৃদ্ধিসহ সিভি বেশ ভারী
হবে। মনের মতো চাকরি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে
বিভিন্ন কোর্স করতে পারেন।
১৪. এমন কারো সঙ্গে কথা বলুন যার সঙ্গে
কথা বলার আগ্রহ রয়েছে আপনার। তাদের
চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা
করুন।
১৫. আপনার চেয়ে স্মার্ট এবং বিজ্ঞ মনে
হয় এমন মানুষের সঙ্গ লাভের চেষ্টা করুন।
তাদের কাছে থেকে নিজের
স্মার্টনেসকে ঝালাই করে নিতে পারবেন।
১৬. নিজের মনের যে সব প্রশ্ন রয়েছে
সেগুলো নিয়ে চিন্তা করুন। নিজেই উত্তর
বের করার চেষ্টা করুন।
১৭. ভোকাবুলারি বাড়ানোর জন্য
প্রতিদিন কিছু নতুন শব্দ শিখুন। এগুলো এক
সময় আপনাকে আইএলটিএস বা এসএটি বা
জিআরই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করে দেবে।
১৮. ভয়ের কিছু করুন। যে সব পরিস্থিতিতে
আমরা ভড়কে যায় সে সব পরিবেশের
অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে দেবে। এ
ছাড়া রোমাঞ্চকর অনুভূতি পাবেন এসবের
মাধ্যমে।
১৯. নতুন কোনো এলাকা বা স্থানে ঘুরতে
যান। অন্তত আপনার বাসস্থানের
আশপাশের কোনো স্থান একটু দেখে আসুন।
২০. স্মার্ট গেম খেলুন। দাবা বা এ ধরনের
গেম খেলুন। চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসব গেম
খেলুন।
২১. কিছু সময় বাঁচিয়ে বিশ্রাম করুন। এ
সময়টিতে কিছুই করবেন না। এতে মানসিক
শান্তিসহ দৈহিক শক্তি ফিরে পাবেন।
২২. উৎপাদনশীল কোনো শখ গড়ে তুলুন।
প্রতিদিন এর পেছনে কাজ করতে পারেন।
সেলাই থেকে শুরু করে মাছ ধরাও এর মধ্যে
পড়তে পারে।
২৩. যা শিখেছেন যা বাস্তবজীবনে
বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করুন। নতুন যন্ত্র
বাজানো বা নির্দিষ্ট কোনো কাজ করার
পদ্ধতি বই বা অনলাইনে শিখে থাকলে তা
নিজে করে দেখার চেষ্টা করুন।
মেকআপ ও রূপচর্চার ১৩ টি দারুণ কার্যকরী
টিপস
সুন্দরের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরদিনের।
ঠিক এ কারণেই মানুষ নিজেক সুন্দর ও
আকর্ষক করে তুলতে চায়। প্রসাধনসামগ্রীর
মধ্যে মেকআপ চেহারার খুঁতগুলো ঢাকতে
এবং সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করে। রইলো
মেকআপ সম্পর্কিত কিছু টিপস।
১) ত্বকের উজ্জ্বলতার জন্য মেকআপ শুরু
করার আগে ঈষদুষ্ণ পানি ও ফেসওয়াশ
দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর পাঁচ-
দশ মিনিট হালকা করে বরফ ঘষে নিন।
মেকআপের সময় ঘেমে যাবেন না।
২) কটন প্যাডে ক্লেনজিং মিল্ক লাগিয়ে
মুখ মুছে নিন।
৩) এরপর ময়েশ্চারাইজার লাগান। তবে
অতিরিক্ত পরিমাণে ময়েশ্চারাইজার
ব্যবহার করবেন না। ত্বক তৈলাক্ত হয়ে
যেতে পারে। এরপর মেকআপ করা শুরু করুন।
৪) চোখ ও ঠোঁটের মেকআপে ভারসাম্য
করতে পারলে মেকআপ উগ্র হবে না। চোখে
ভারী মেকআপ করলে ঠোঁটে উজ্জ্বল লিপ
কালার লাগান।
৫) রাতের অনুষ্ঠানে উজ্জ্বল আলো হালকা
রঙকে অনুজ্জ্বল করে তোলে। তাই রাতে
হালকা রঙের লিপস্টিক না লাগালেই
ভালো।
৬) ভ্রু যদি হালকা হয় তাহলে আইব্রো
পেনসিল দিয়ে ভ্রু আঁকতে পারেন।
পেনসিল আগে শার্প করে নিন যাতে
আঁকতে সুবিধা হয়। ছোট এবং মসৃণ স্ট্রোকস
আঁকুন। গাঢ় বাদামি রঙের পেনসিল ব্যবহার
করলে ভ্রু প্রাকৃতিক লাগে। প্রতিদিন
ভ্রুতে ক্যাস্টর অয়েল লাগালে উপকার
পাবেন।
৭) সানস্ক্রিনযুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করুন।
যদি আপনার ঠোঁট শুকনো হয় তাহলে ম্যাট
লিপস্টিক না লাগিয়ে গ্লসি লিপস্টিক
লাগান।
৮) প্রতিদিন মুখ ধোওয়ার পর নরম তোয়ালে
দিয়ে আলতো করে ঘষে ঠোঁটের মৃত কোষ
ঝরিয়ে ফেলুন।
৯) ঠোঁটের ওপর দুধের সর লাগিয়ে ১ ঘণ্টার
মতো রেখে দিন। রোজ রাতে ঠোঁটে আমন্ড
অয়েল লাগালে উপকার পাবেন।
১০) পাতলা ঠোঁট হলে হালকা রঙের এবং
গ্লসি লিপস্টিক লাগান। এতে আপনার
ঠোঁট ভরাট দেখাবে।
১১) নেল পলিশের ওপর আরেক প্রস্থ স্বচ্ছ
নেল পলিশ লাগান। এতে নখ হলুদ হওয়ার
সম্ভাবনা কমে যায়।
১২) ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে চাইলে থুতনি
ও গলার অংশে গোল্ড পাউডার হলাকা
ব্লাশার দিয়ে লাগিয়ে ফেলুন।
১৩) লিপস্টিক লাগানোর পর ওয়েট লুকের
জন্য (রঙ ছাড়া ওয়াটার কালার) লিপগ্লস
ব্যবহার করুন। লিপস্টিকে লাল, গোলাপি
রঙ ব্যবহার করুন। খুব গাঢ় রঙ এড়িয়ে চলুন।
গাঢ় বাদামি বা মেরুন রঙ ব্যবহার না করাই
ভালো।
আপনি কি জীবনে অসুখী? তা হলে জেনে
নিন ৮টি করণীয় বিষয়
কখনও কখনও কোনো কারণ ছাড়াই মন
খারাপ হয় মানুষের। কোনদিন দুপুরে হয়তো
এমন উদাস লাগে, কোনভাবেই আর কাজে
মন বসানো যায় না। হয়তো কোনদিন
সন্ধ্যায় জীবনটাই অর্থহীন হয়ে পড়ে তীব্র
বিষণ্ণতায়। বিষণ্ণতায় ভোগা, উদাস হয়ে
থাকা, মন খারাপ ও মেজাজ খিটখিটে
ভাব সব মানুষের ক্ষেত্রেই কম বেশি হয়ে
থাকে। হাস্যোজ্জ্বল ও স্বতঃস্ফূর্ত থাকে
এমন সব ইতিবাচক ব্যক্তিরাও ‘ভালো না
লাগা’ অসুখে ভোগেন।
চাইলেই নিজের পারিপার্শ্বিক
পরিস্থিতি বদলানো জায় না। সব সমস্যার
সমাধান নেই আপনার হাতে। কিন্তু মানুষ
হিসেবে আপনি সুখী হবেন নাকি অসুখী
তার অনেকটাই নির্ভর করে আপনার
নিজের ওপর। জীবনে ঘটে যাওয়া অতীতের
ভুলে নিমজ্জিত না থেকে বর্তমান
সময়টাকে উপভোগ করা যায়।
মনের ভেতর বাসা বাঁধা মনের অসুখ আপনি
সারিয়ে ফেলতে পারেন নিজেই। তাই
জেনে নিন কারণ ছাড়া মন খারাপের
কালে কী করবেন!
অপছন্দের বিষয় পরিহার করুন:
যদি নিজের জীবন নিয়ে তৃপ্ত না হন তবে
জীবনকে ধীরে ধীরে বদলানোর চেষ্টা
করুন। যেসব বিষয় এবং মানুষ আপনাকে
অসুখী করে তার একটি তালিকা তৈরি
করে পরিহার করার চেষ্টা করুন। একই সঙ্গে
যা যা ভালো লাগে সেসব সাধ্য অনুযায়ী
করতে সচেষ্ট হন। যেসব বন্ধু বা ব্যক্তি
আপনার জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে তাদের
অতি অবশ্যই পরিহার করবেন।
এমনকি নিজের চাকরিটিও যদি অপছন্দের
হয় তবে তা ছেড়ে দিয়ে নতুন
কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুন। সহজ কথায়
যা কিছু অপছন্দের তা পরিহার করুন।
অপছন্দের মানুষদের নিজের জীবন থেকে
ছেঁটে ফেলুন। এরপর আপনার যা কিছু আছে
তার প্রতি কৃতজ্ঞচিত্তে আনন্দিত জীবন
যাপন করুন, তাড়িয়ে বেড়ানো অতীত ভুলে
যান।
বিরতি নিন:
কারণ ছাড়াই অসুখী বোধ করছেন? জীবন
দৌড়ে একটু বিরতি দিন, অসুখের কারণ
খুঁজে বের করুন। হতে পারে আপনি খুবই
ক্লান্ত, তাহলে বিশ্রামে যান, ফুরফুরে
স্বতেজ হয়ে ফিরে আসুন নিত্যদিনের
জীবনে। অথবা হতে পারে কেউ আপনার
জীবনকে বিভীষিকাময় করে তুলেছে।
নিজের মনকে স্থিত করুন, সমস্যাগুলোকে
একপাশে রাখুন। এরপর হাঁটতে বেরিয়ে
পড়ুন, প্রকৃতিকে উপভোগ করুন, ধ্যান বা
ব্যায়ামও কার্যকরী মনস্থির করতে।
নিজেকে সময় দিন, নিজের সঙ্গে নিজের
কিছু ‍ভালো সময় কাটানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এটা আপনাকে স্বতেজ, ফুরফুরে ও নতুন করে
তুলবে। আর যদি বুঝতে পারেন আপনার
অসুখী থাকার আসল কারণ অন্য কেউ; তবে
তাকে সরিয়ে ফেলুন জীবন থেকে, তা সে
যেই হোক!
পেছন ফিরে তাকান:
নিজের জীবন নিয়ে অতৃপ্ত ও অসুখী হলে
পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখুন কী কী
করেছেন জীবনে। জীবনের কিছু বিষয়
বদলানোর প্রয়োজন হতে পারে, হয়তো
জীবনের পুরনো লক্ষ্য বদলে নতুন করে
নির্ধারণের প্রয়োজন পড়বে। এই পরিবর্তন
ঘটানো সবচেয়ে কঠিন, তবে এটা যদি
আপনাকে আরও বেশি সুখী মানুষে পরিণত
করে তবে নিজেকে এই চ্যালেঞ্জ
জানাতে ভয় পাবেন না।
অন্যকে খুশী করার চেষ্টা করুন:
অসুখী অবস্থায় যখন নিজেকেই সাহায্য
করা যায় না তখন অন্যকে খুশী করা খুবই
কঠিন। যাই হোক এ সময়ে অন্যকে খুশী করা
এবং খুশী মানুষদের দ্বারা আবৃত থাকা
আপনাকে সুখী করে তুলবে। মানুষ অন্যকে
খুশী করে শুধু তাকেই সুখী করে না, নিজেও
সুখী হয়ে ওঠে।
হাস্যরসাত্মক মুভি দেখুন:
ট্র্যাজিক লাভ স্টোরি পরিহার করে
কমেডি মুভি দেখে নিজের মুড বদলাতে
পারেন। মন খুলে হাসা আপনাকে অনেকটাই
সুস্থ করে তুলবে। এছাড়াও আপনার সমস্যা
সংক্রান্ত বিষয় ভুলে থাকারও ভালো
উপায় এটা, হোক তা স্বল্প সময়ের জন্যই।
হাসি দিয়ে নিজেকে ভুলিয়ে রাখা
নিজের সঙ্গে ছলনা হতে পারে। নিজের
সমস্যা কাটিয়ে না ওঠা পর্যন্ত এই সুযোগ
গ্রহণে কোনো অসুবিধা নেই।
ইতিবাচক লোকেদের আশপাশে থাকুন:
যখন পরাজিত ও বিপর্যস্ত বোধ করছেন,
হতাশার গ্লানিতে ডুবে আছেন, এমন সময়ে
সেইসব ব্যক্তির সঙ্গে থাকুন যাদের সঙ্গ
আপনাকে সুখী করে তোলে। যাদের সঙ্গ
আপনাকে সজীব করে তোলে তাদের
পাশেই থাকুন। জীবন খুবই ছোট, তাই
নিজের মূল্যবান সময় বিরক্তিকর লোকের
সঙ্গে কাটিয়ে অপচয় করবেন না।
স্বেচ্ছাসেবায় যুক্ত হন:
যখন কোনো কারণ ছাড়াই অসুখী বোধ
করছেন, তখন স্বেচ্ছাসেবার ব্রতী গ্রহণ
করুন। স্বেচ্ছাসেবা একটা উত্তম পন্থা
নিজেকে সুখী করে তোলার। আপনার
আশপাশের অনাথ, অসহায় ও দরিদ্র নারী-
পুরুষ-শিশুর পাশে দাঁড়ান, এর ফলে নিজের
ভেতর থেকেই এক ধরনের আত্মসুখ পাবেন।
নিজের জীবনটাও অর্থময় হয়ে উঠতে
পারে।
শুধু অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়েই
স্বেচ্ছাসেবা হয় না। নার্সিং হোম, অনাথ
আশ্রম কিংবা বিপদে পড়া যে কারোর-ই
পাশে দাঁড়াতে পারেন ‍চাইলে। কিন্তু এটা
অবশ্যই খুব সতর্কভাবে করতে হবে,
অসাবধানতায় অন্যকে বিপদ থেকে উদ্ধার
করতে যেয়ে তাকে আরও বিপদে ফেলবেন
না যেন। শুধু মানুষকেই নয়, আশপাশের পশু-
পাখি, প্রকৃতির প্রতিও দায়বোধ থেকে
করতে পারেন অনেক কিছুই। নিজেই ভেবে
দেখুন কত কি করা যায়।
বাস্তবতার সঙ্গে মানসিক দূরত্ব তৈরি
করুন:
নিজের জীবনের নিত্যদিনকার কাজে ও
চাপে নিমজ্জিত থেকে যদি বিপর্যস্ত
বোধ করেন তবে বাস্তবতা থেকে কিছুটা
সময়ের জন্য হলে দূরে সরে থাকুন। দিনের
বেলায় আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখুন, আষাঢ়ে
গল্পের জাল বুনুন। নিজের কঠিন বাস্তবতা
থেকে এই মানসিক বিরতি আপনাকে
অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন করে তুলবে। এমনকি
আপনার কাজের নানা সমস্যার সমাধানেও
সহায়ক হবে এই পদ্ধতি।
সর্বোপরি সুখী থাকার চেষ্টাই আপনাকে
সুখী করে তুলবে। তাই সুখী মানুষ হওয়ার
চেষ্টা করুন প্রাণপণে।
ঝগড়া করেছেন? জেনে নিন সম্পর্ক আবার
মধুর করে তোলার কিছু উপায়
সম্পর্কে থাকলে দুজনের মধ্যে ঝগড়া, কথা
কাটাকাটি বা তর্ক হতেই পারে। এটি খুব
স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। কিন্তু সমস্যা
তখনই শুরু হয় যখন দুপক্ষ তা ধরে নিয়ে বসে
থেকে অনেকটা সময় পার করে দেন। বুকের
ভেতর অভিমান জমিয়ে রেখে কষ্ট পেতে
থাকেন। এবং এভাবেই দূরত্বের সৃষ্টি হতে
থাকে সম্পর্কে। তাই ঝগড়ার পর সম্পর্ক
আবার নতুন করে মধুরতা ফিরিয়ে আনার
চেষ্টা করতে হবে দুজনকেই। এতে করে
দুজনের প্রতি স্রদ্ধাও বাড়বে এবং
সম্পর্কও হবে দীর্ঘস্থায়ী।
১) ব্যাপারটি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা
যতো ধরে বসে থাকবেন ততোই সম্পর্কে এর
খারাপ প্রভাব পড়তে থাকবে তাই ধরে
নিয়ে বসে থাকার মনোভাব বাদ দিন।
ঝগড়া যে ব্যাপারটি নিয়েই হোক না কেন
তা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন
সেখানেই। এর রেশ টেনে পড়ে আবার
ঝগড়া বাঁধিয়ে ফেলার কোন অর্থ হয় না।
২) দুজনে যে মধুর সময় একসাথে
কাটিয়েছেন তা মনে করুন
ঝগড়ার পর মনে হতেই পারে আপনার সঙ্গী
আপনাকে একেবারেই ভালোবাসেন না,
তার সাথে জড়িয়ে আপনি জীবনে সুখ
পেলেন না ইত্যাদি ধরণের কথা। কিন্তু
দুজনের একসাথে কাটানো মধুর স্মৃতি মনে
করে দেখুন। এইধরনের আজেবাজে কথা
মাথা থেকে দূর হয়ে যাবে নিমেষেই। এতে
করে ঝগড়ার পরও মনের মানুষটির সাথে
সম্পর্কে টানাপোড়ন সৃষ্টি হবে না।
৩) ভুল যারই হোক দুজনেই দুজনের কাছে
ক্ষমা চেয়ে নিন
হতে পারে যেকোনো একজনের জন্য
আপনাদের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে অথবা দুজনের
ভুলের কারণেই, তাই ভুল যারই হোক না কেন
সম্পর্কে পুনরায় মধুরতা আনতে দুজনেই
দুজনের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিন। কারণ ভুল
যারই হোক না কেন ঝগড়া দুজনেই করেছেন।
এতে করে দুজনের মনে দুজনের জন্য নতুন
করে ভালোবাসার সৃষ্টি হবে।
৪) জোর করে কিছুই করবেন না
জোরাজুরি করে কোনো কিছুই হয় না এই
কথা মনে রাখবেন। যদি সঙ্গী আপনার
মতো চিন্তা না করতে পারেন তবে আপনি
তাকে জোর করে নিজের মতো করে
ভাবতে বাধ্য করতে পারবেন না। তিনি
যখন সহজ হবেন তখনই তার সাথে কথা বলে
বিষয়টি মিমাংসা করে নিন। নতুবা নতুন
করে ঝগড়ার সূচনা হবে।
৫) মনে করুন আপনারা একে অপরকে কতোটা
ভালোবাসেন
আপনি নিজেও জানেন আপনারা একজন
আরেকজনকে কতোটা ভালোবাসেন। তাই
সামান্য ঝগড়ার কারণে হুটহাট রাগের
মাথায় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন না।
এবং সব চাইতে বড় বিষয় ইগো ধরে বসে
থাকবেন না। সম্পর্কে ইগো ধরে বসে
থাকলে সেই সম্পর্ক সুখের হয় না এবং
দীর্ঘস্থায়ীও হয় না। ভুল করলে ক্ষমা
চেয়ে নিন। প্রকাশ করুন একে অপরের প্রতি
ভালোবাসা।
৬) অন্যরকম কিছু করুন মনের মানুষটির জন্য
ঝগড়ার পর মনের মেঘ দূর করে ফেলার জন্য
এমন কিছু করুন সঙ্গীর জন্য যা নিমেষেই
মুখে হাসি ফুটিয়ে দেবে। রাতে ঝগড়া
হয়েছে? সকালে একটি ভালোবাসাপূর্ণ
ম্যাসেজ পাঠিয়ে দিন সঙ্গীকে। অথবা
সকালে ঝগড়া করেছেন তাহলে মিটিয়ে
ফেলার জন্য সারপ্রাইজের ব্যবস্থা করে
ফেলুন সঙ্গীর জন্য।
পুরুষেরা ভালোবাসার সম্পর্কে যে
প্রশংসা বাক্যগুলো শুনতে চায়
প্রেমের সম্পর্ক হোক কিংবা দাম্পত্য
সম্পর্ক, প্রশংসা শুনতে নারী ও পুরুষ উভয়ই
ভালোবাসেন। যেমন ধরুন, নারীরা তাদের
নিজের সঙ্গীর কাছ থেকে প্রশংসা
শোনার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকেন। আর যখনই
প্রশংসা পান তখন যেন খুশির শেষ
থাকেনা। কিন্তু অনেক নারীরাই এই ভুলটি
করে থাকেন, তা হল সঙ্গীর প্রশংশা খুব
সহজে করেন না। শুধু নিজের প্রশংসা
শুনলেই তো আর হবে না, মাঝে মাঝে
সঙ্গীকেও তার কোন কিছুর জন্য প্রশংসা
করুন। দেখুন সে কতো খুশি হয়। আর পুরুষেরা
তাদের সম্পর্কে যে প্রশংসাগুলো শুনতে
ভালোবাসেন তা হল……
“আই লাভ হাউ স্ট্রং ইউ আর”
এই ছোট্ট একটি কথা বলে আপনার সঙ্গীকে
মুহূর্তেই খুশি করে দিতে পারেন।
শক্তিশালী কর্মঠ পুরুষ সব নারীদেরই সপ্ন
থাকে। তাই যদি আপনার সঙ্গী সত্যি
এমনটা হয়ে থাকে এই কথাটি বলে তার
প্রশংসা করুন।
“আই এম প্রাউড অফ ইউ”
সঙ্গীকে নিয়ে গর্ববোধ করতে সবাই চায়।
পুরুষ সঙ্গীটি যদি হয়ে থাকে খুব কর্মঠ, সে
যদি হয়ে থাকে কোন ব্যক্তিত্ববান পুরুষ
যার জীবনে সে অনেক ভাল জিনিস অর্জন
করেছেন, কিংবা হতে পারে প্রতিষ্ঠিত
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা কোন বড়
ব্যবসায়ী, তাহলে তাকে নিয়ে অবশ্যই তার
সামনে গর্ববোধ করুন।
‘তুমি আমার খুশি হওয়ার অন্য কারণ’
এই কথাটি একবার সঙ্গীকে বলেই দেখুন না
সে কতটা খুশি হয়। আপনার সম্পর্ক প্রেমের
কিংবা দাম্পত্যের হোক না কেন সঙ্গী
নিশ্চয়ই আপনাকে খুশি রাখতে অনেক কিছু
করেন, আপনি যে হাসিখুশি থাকেন সবসময়
তা খেয়াল করেন তাহলে তার এতো কিছুর
জন্য তাকে অবশ্যই প্রশংসা করুন।
‘তুমি অসাধারণ একজন সঙ্গী’
সবার সঙ্গী সবার কাছে কোন না কোন
কারণে অসাধারণ। তাই সঙ্গীকে বলেই
ফেলুন তার এমন কোন কাজের জন্য যে ‘তুমি
এতো বেশি অসাধারণ কেন?’ বেশি করে
প্রশংসা করুন। কারণ প্রশংসা এমন একটি
বিষয় যা সম্পর্ককে আরও বেশি মজবুত
করে।
‘তোমাকে অনেক ধন্যবাদ’
সঙ্গী আপনার জন্য যাই করুক না কেন
কিংবা আপনাকে যখন যেভাবে যেই
অবস্থায় রাখুক না কেন তাকে কখনো
ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না। অনেকেই
ধন্যবাদ বলতে কিছুটা হলেও লজ্জা পান
তাই মিষ্টি করে হাসি দিয়ে থাকেন।
কিন্তু মিষ্টি করে হাসি তো দিবেনই
সাথে ধন্যবাদও বলাটা জরুরি।
‘ইউ আর মাই হিরো’
নারীদের কাছে তাদের প্রেমিক কিংবা
স্বামী কিন্তু অ্যাকশন যে কোন মুভির
হিরোর মতোই। কিন্তু বাস্তবে সঙ্গীকে
হিরো না ভাবাই ভাল কারণ মুভি আর
বাস্তবতা কিন্তু একরকম নয়। কিন্তু
তারপরেও সঙ্গী নিশ্চয়ই আপনার খুব
খেয়াল রাখেন, কোন সমস্যা হলে সে
আপনাকে সাহায্য করেন, আরও অনেক
কিছুই যার জন্য আপনি সঙ্গীকে হিরো মনে
করেন, আর তাকে ‘ইউ আর মাই হিরো’ বলতে
ভুলবেন না।
এবং সবার শেষে, সঙ্গীকে সম্মান করতে
কখনো ভুলে যাবেন না। যেহেতু সঙ্গীই
আপনার এতোগুলো প্রশংসা শোনার
ক্ষমতা রাখে তাহলে তো তাকে আপনার
মন থেকে সম্মান করা উচিৎ। তাকে সম্মান
করে ভালোবাসুন এবং প্রশংসাও করেন
সম্মান দিয়ে। কারণ সম্পর্কে এই
বিষয়গুলোর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।
অতি সাধারণ ৮টি কাজ, কিন্তু মেয়েদের
কাছে দারুণ রোমান্টিক!
ভালোবাসা মানে কি কেবল প্রেমিকা
কিংবা বউকে রাশি রাশি উপহার দেয়া,
দামী রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়া কিংবা
এখানে-সেখানে ঘোরা প্রতিদিন? একদম
কিন্তু নয়! এসব দিয়ে কিছু মেয়েকে খুশি
করা যায় বটে, কিন্তু বেশিরভাগ মেয়েই
খুশি হয়ে থাকেন একদম সাধারণ কিছু
ভালোবাসায়। হয়তো আপনার কাছে সেটা
খুবই আনরোমান্টিক বা মূল্যহীন, কিন্তু
মেয়েদের কাছে বিষয়টির মূল্য অনেক
বেশি। আসুন, জানিয়ে দেই ৮টি এমন কাজ
সম্পর্কে, যেগুলো করার মাধ্যমে খুব সহজেই
জিতে নিতে পারবেন আপনি পছন্দের
মেয়েটির মন। এবং সহজে আর অন্য কোন
পুরুষ স্থান করে নিতে পারবে না সেই মনে।
আর হ্যাঁ, আপনাদের ভালোবাসা হয়ে উঠবে
অনেক বেশি মজবুত ও সুন্দর।
১) মাঝে মাঝেই তাঁর মাথায় হাত রাখুন
ভালোবাসা মানে শুধু তীব্র প্রেম আর
দৈহিক আকর্ষণ নয়। একদম সাধারণ একটি
স্পর্শও প্রকাশ করতে পারে গভীর
ভালোবাসা। তাঁর মাথায় হাত রাখুন,
কখনো চুলের মাঝে হাত বুলিয়ে দিন, মুখে
চুল এসে পড়লে আলতো করে সরিয়ে দিন।
আপনার এই ভালোবাসার ছোট্ট আচরণ তাঁর
মনে তৈরি করে নেবে বিশাল একটি
জায়গা।
২) চুম্বনটি হোক ভীষণ আন্তরিক
অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন, চুমু তো আন্তরিকই
হয়! চুমু খাওয়ার সময় তাঁর সুন্দর মুখটি
নিজের দুহাতে কোমল করে ধরুন। আর
অনেকটা সময় নরম করে তাকিয়ে থাকুন।
দেখবেন, এই সামান্য জিনিসটি তিনি কি
পছন্দই না করছেন। একটু লজ্জা পাচ্ছেন,
আবার একটু খুশিও হচ্ছেন। নারীদের কাছে
এই বিষয়টি খুব রোমান্টিক।
৩) তাঁকেও সুযোগ দিন আরাম করার
আপনার স্ত্রী নিশ্চয়ই সারাদিন কাজ
করেন বাসায়? আর কর্মজীবী হয়ে থাকলে
তো বাসা-অফিস মিলিয়ে তাঁর অবস্থা
নিশ্চয়ই কাহিল! বাড়িয়ে দিন সাহায্যের
হাত। চেষ্টা করুন এটা-সেটায় তাঁকে একটু
সাহায্য করতে। নিজে রাঁধতে না পারেন,
মাঝে মাঝে ডিনারের যন্ত্রণা থেকে
মুক্তি দিতে না হয় বাইরে থেকেই খাবার
কিনে আনুন। এই একটুখানি আদরে আপনি
তাঁর কাছে পাবেন আন্তরিক সম্মান।
৪)দুজনে বাইরে যাচ্ছেন?
হয়তো স্ত্রী বা প্রেমিকা খুব সেজেগুজে
বের হয়েছেন আপনা সাথে বেড়াতে
যাবেন বলে। হয়তো সাধারণত রিকশা বা
বাসেই চলাচল করেন আপনারা। আজ নিয়ম
ভেঙে একটি সিএনজি বা ট্যাক্সি ভাড়া
করে ফেলুন। একটুখানি আরামে দুজনে
পাশাপাশি উপভোগ করুন খানিকটা সময়।
একটা দিন নাহয় তাঁকে বাস বা রিকশার
যন্ত্রণা থেকে বাঁচিয়ে দিলেন।
৫) ভিড়ের মাঝে আগলে রাখুন
প্রচণ্ড ভিড় হয়তো বাসে কিংবা
মার্কেটে। হয়তো কোথাও বেড়াতে
গিয়েছেন বা সিনেমায় গেছেন,
সেখানেও। এই ভিড়ের মাঝে ভালোবাসার
নারীকে অবশ্যই একটু আগলে রাখুন। চেষ্টা
করুন তাঁকে ঠেলাঠেলি থেকে রক্ষা করতে,
হাতটা শক্ত করে ধরে রাখুন। কে কী ভাবল
সেসব নিয়ে চিন্তা করবেন না। সে যেন
বোঝে যে জীবনের সকল পরিস্থিতিতে
আপনি তাঁর পাশেই আছেন।
৬) সবসময় তাঁকে সুন্দর, পরিপাটি থাকার
জন্য চাপ দেবেন না
হ্যাঁ, তিনিও মানুষ। সবসময় সুন্দর পোশাক
পরে পরিপাটি থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
সবসময়ে একজন মানুষকে দেখতে ভালো
দেখানো এক কথায় অসম্ভব। তিনি যখন
নিজের সবচাইতে খারাপ পোশাকটি পরে
আছেন, কিংবা যেদিন তাঁকে দেখতে
সবচাইতে বাজে লাগছে, কিংব
সাজসজ্জা বিহীন ঘুরতে বেরিয়েছেন-
তখনও তাঁকে সুন্দর বলুন। মিথ্যা করে হলেও
বলুন। এই ছোট্ট মিথ্যাই তাঁকে নিয়ে আসবে
আপনার খুব কাছাকাছি।
৭) ভুলবেন না ছোট্ট উপহার
তাঁকে অনেক কিছু কিনে দেয়ার সামর্থ্য
নিশ্চয়ই আপনার আছে। কিন্তু সেসবের
ভিড়ে ছোট্ট কিন্তু প্রিয় উপহার গুলোর
কথা ভুলে যাবেন না। একটু ফুল, প্রিয়
চকলেট, একটা গান, এক গুচ্ছ চুড়ি কিংবা
এক পাতা টিপ- এসবের মাঝে যে
রোমান্টিকতা আছে সেসব আসলে আর
কিছুর মাঝে নেই।
৮) ছোট্ট আদুরে জেদ করুন
এর অর্থ তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করা নয়, বরং
নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করা। কী রকম?
যেমন ধরুন তাঁর চোখের কাজল আপনার খুব
ভালো লাগে, কিংবা কপালের টিপটা।
আদর করে জানিয়ে দিন- “তুমি কিন্তু টিপ
না পরে বাইরে মোটেও যাবে না!” এই
সামান্য ব্যাপারে তিনি যে কতটা খুশি
হবেন আপনার ধারণাও নেই। জীবন একটাই।
ভালো থাকুন, ভালো বাসুন।
অজানা কিছু অদ্ভুত বিষয় ভালোবাসা
সম্পর্কে
প্রথম দেখায় প্রেম বা শুধুমাত্র তাকিয়ে
থাকলে কি আপনি সম্পূর্ণ অপরিচিত
একজনের প্রেমে পড়ে যেতে পারেন তা
কি আপনি জানেন? অথবা আপনি জানেন
কি নারীরা কেন নিজের প্রেমিক/
স্বামীর দিকে অন্য নারীর দৃষ্টি
একেবারেই পছন্দ করতে পারেন না? আসলে
প্রেম ভালোবাসা সম্পর্কে আমরা
অনেকেই অনেক কিছু জানি না।
প্রেম যদিও হৃদয় থেকে নয় মস্তিষ্ক থেকে
আসে তারপরও এর সাথে অদ্ভুতভাবে
জড়িত আমাদের হৃদপিণ্ড। জানতে চান
প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্কে অদ্ভুত কিছু
অজানা বিষয়? চলুন তবে দেখে নেয়া যাক
আমাদের আজকের ফিচার। জেনে নেয়া
যাক ভালোবাসা সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত
সাইকোলজিক্যাল ব্যাপার।
১) নারীরা যে কারণে হাস্যউজ্জ্বল পুরুষ
পছন্দ করেন
সকলেই জানেন নারীরা এমন পুরুষ পছন্দ
করেন যারা অনেক বেশি হাস্যউজ্জ্বল।
কিন্তু কেন? কৌতুকরস বোধ বা হাস্যরস
বোধের সাথে বুদ্ধিমত্তা এবং সততার
একটি যোগাযোগ থাকে। সেকারণে
নারীরা হাস্যউজ্জ্বল এবং কৌতুকরস বোধ
পূর্ণ পুরুষ বেশি পছন্দ করেন।
২) হাসিখুশি মানুষের প্রতি মানুষ প্রেমে
পড়ে থাকেন
গবেষণায় দেখা যায়, মানুষ সাধারণত এমন
একজনের প্রেমে পড়েন যিনি অনেক বেশি
হাসিখুশি থাকেন এবং হাসিখুশি ভাবে
জীবনযাপন করতে পছন্দ করেন। এর কারণ
হচ্ছে হাসিখুশি থাকা ব্যাপারটি
অনেকটা ছোঁয়াচে ধরণের হয়ে থাকে।
৩) মেয়েরা যে কারণে নিজের প্রেমিক বা
স্বামীর দিকে অন্য কোনো মেয়ের
তাকানো পছন্দ করেন না
মেয়েরা নিজের প্রেমিক বা স্বামীর
দিকে অন্য কোনো মেয়ে তাকালে অনেক
বেশি ঈর্ষান্বিত হয়ে যান কেন জানেন?
কারণ, সাইকোলজিস্টগণ বলেন, নারীরা
একজন পুরুষকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় মনে
করেন যখন তার দিকে অন্য নারীরা
তাকান।
৪) প্রতিটি সম্পর্কে ১ বার অন্তত ভাঙন
আসে
প্রতিটি সম্পর্কে ১ বার ভাঙন আসে যখন
সম্পর্কটি ৩ মাস কিংবা ৬ মাস পর্যন্ত
গড়ায়। যদি এই ভাঙন দুজনে মিলে ঠিক করে
নিতে পারেন তবে তা দীর্ঘমেয়াদী হয়
নতুবা সেখানেই দুজনের পথ আলাদা হয়ে
যায়।
৫) হৃদয় ভাঙার ব্যাপারটি শারীরিকভাবে
সত্য
অনেকেই বিচ্ছেদের ব্যাপারটিকে মজা
করে বলে থাকেন ‘হৃদয় ভেঙে যাওয়া’।
কিন্তু সত্যিকার অর্থেই কিন্তু হৃদয় ভেঙে
যায় বিচ্ছেদ হলে। গবেষণায় দেখা যায়
ব্রেকআপ, ডিভোর্স বা ভালোবাসার
মানুষটির কাছ থেকে দূরে যাওয়া
হৃদপিণ্ডে প্রচণ্ড প্রদাহ এবং ব্যথার সৃষ্টি
করে। ডাক্তারগণ এর নাম দিয়েছেন
‘ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম’।
৬) প্রথম নজরে প্রেম সত্যিকার অর্থেই হয়
প্রথম দেখায় প্রেম এবং কারো দিকে
তাকিয়ে থাকলে প্রেমে পড়ার বিষয়টি
সত্যিকার ভাবেই রয়েছে।
সাইকোলজিস্টগণ বলেন কারো দিকে
একটানা তাকিয়ে থাকা বা প্রথম দেখায়
অনেক বেশি আকর্ষণ বোধ করার
ব্যাপারটি আমাদের মস্তিষ্কের কাজ।
আমরা খুব আগ্রহ নিয়ে কারো দিকে
তাকালে আমাদের দেহে
‘ফেনাইলথেলামাইন’ নামক একটি
কেমিক্যালের নিঃসরণ ঘটে যার ফলে
আমাদের মস্তিষ্ক তার প্রতি আকর্ষণবোধ
করে।
৭) চোখের আড়াল হলে মনের আড়াল হওয়ার
ব্যাপারটি সঠিক
চোখের আড়াল হলে মনের আড়াল হওয়ার
ব্যাপারটিরও সত্যতা পাওয়া যায়।
সাইকোলজিস্টগন বলেন আমরা শুধুমাত্র
তখনই একজনের প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণ
বোধ করি যখন অনেকটা সময় কাছাকাছি
কাটিয়ে দেয়া হয়। কারো প্রতিদিন
চোখের সামনে থাকা এবং শারীরিক
ভাবে পাশে থাকা মনের ওপর প্রভাব
ফেলে যা দূরে চলে গেলে অনেকাংশে দূর
হয়ে যায়।