আল্লাহ কাউকে দুনিয়াতে পাঠারনোর আগে তার মাতৃগর্ভেই সকল কিছু নির্ধারন করে দেন

আবার আল্লাহ চাইলে তা পরিবর্তনও করতে পারেন। আমরা যেমন কর্ম করি আল্লাহ আমাদের তেমনই ফল দেন,যদিও আল্লাহ জানেন দুনিয়াতে কে কি করবেন তবু আল্লাহ আমাদের দুনিয়াতে পাঠান। যেন আমরা আমাদের ভাল মন্দ দিকটাকে বুঝে শুনে চলতে পারি এবং দুনিয়ার সকল খারাপ কাজ থেকে দূরে থেকে আল্লাহর পবিত্রতা প্রকাশ করি আর আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী করে যেন আমরা জান্নাত লাভ করতে পারি। আল্লাহ মহান তাই আল্লাহ আমাদের দুনিয়া দেখার জন্য সুযোগ দিয়েছেন.....।

আবূ আব্দির রহমান আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন— রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম— যিনি সত্যবাদী ও যার কথাকে সত্য বলে মেনে নেয়া হয়— তিনি আমাদেরকে বলেছেন:
          
তোমাদের সকলের সৃষ্টি নিজের মায়ের পেটে চল্লিশ দিন যাবৎ শুক্ররূপে জমা হওয়ার মাধ্যমে শুরু হতে থাকে, পরবর্তী চল্লিশ দিন জমাট বাঁধা রক্তরূপে থাকে, পরবর্তী চল্লিশ দিন মাংসপিণ্ড রূপে থাকে, তারপর তার কাছে ফিরিশ্তা পাঠানো হয়। অতঃপর সে তার মধ্যে রূহ প্রবেশ করায় এবং তাকে চারটি বিষয় লিখে দেয়ার জন্য হুকুম দেয়া হয়- তার রুজি, বয়স, কাজ এবং সে কি সৌভাগ্যবান না দুর্ভাগ্যবান।

অতএব, আল্লাহর কসম-যিনি ছাড়া আর কোন সত্য ইলাহ্ নেই-তোমাদের মধ্যে একজন জান্নাতবাসীর মত কাজ করে[1]– এমনকি তার ও জান্নাতের মধ্যে মাত্র এক হাত ব্যবধান থাকে, এ অবস্থায় তার লিখন তার উপর প্রভাব বিস্তার করে বলে সে জাহান্নামবাসীর মত কাজ শুরু করে এবং তার ফলে তাতে প্রবেশ করে।

এবং তোমাদের মধ্যে অপর এক ব্যক্তি জাহান্নামীদের মত কাজ শুরু করে দেয়- এমনকি তার ও জাহান্নামের মধ্যে মাত্র এক হাত ব্যবধান থাকে, এ অবস্থায় তার লিখন তার উপর প্রভাব বিস্তার করে বলে সে জান্নাতবাসীদের মত কাজ শুরু করে আর সে তাতে প্রবেশ করে।

            [বুখারী: ৩২০৮, মুসলিম: ২৬৪৩]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন