হাশরের মাঠে প্রতিটি

বান্দাকে ৫টি প্রশ্ন করা হবে। যার উত্তর না
দিয়ে এক চুল পরিমাণও সামনে যেতে
পারবে না কেউ। আর এই পাঁচটি প্রশ্ন খুবই
গুরুত্ববহ। একজন বান্দা তার সারা জীবন
কীভাবে কাটিয়েছে, কীভাবে কাটাবে
এসব পুঙ্খানুপুঙ্খ উত্তর দিতে হবে বান্দাকে।
পাশাপাশি সম্পদ উপার্জনের বিষয়ে পুরো
হিসাব দিতে হবে আল্লাহর কাছে। মানুষকে
দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছে ইবাদতের জন্য।
কিন্তু দুনিয়াই শেষ নয়। এরপর আখেরাত
নামের আরেকটি জীবন রয়েছে।
যেখানে
বান্দার জন্য আছে জান্নাত জাহান্নাম। যে
ব্যক্তি ভালো কাজ করবে সে জান্নাতবাসী
হবে। মন্দ কাজ করলে হবে জাহান্নামী। এ
জন্য বান্দাকে দুনিয়াতে চলাফেরায়
সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আয় উপার্জনে
হিসেবি হওয়া উচিত। কোরআনে আল্লাহ
তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘প্রতিটি
প্রণীকেই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে
হবে
।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত ৫৭) প্রত্যেক
ব্যক্তিকেই ইন্তেকাল করতে হবে। আর
ইন্তেকালের পর সবাইকে সমবেত করা
হবে
বিচারের মাঠে। এটিই হলো হাশরের মাঠ।
সুরা ফাতেহায় একে ‘ইয়াউমুদ দীন’ বা বিচার
দিবসও বলা হয়েছে । হাদিসে বর্ণিত
হয়েছে, রাসুল সা. ইরশাদ করেন, সেই দিন
৫টি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কোনো আদম
সন্তান তার পা এক কদমও নাড়াতে পারবে
না; চাই সে নবী হোক কিংবা অলী হোক।
সেই ৫ প্রশ্ন হলো নিম্নরূপ। (১) সর্ব প্রথম
তাকে প্রশ্ন করা হবে, ‘তুমি তোমার সারা
জীবন কোন পথে কাটিয়েছো?’ (২)
এরপর
প্রশ্ন করা হবে, ‘যৌবনকালে কোন আমল
করেছো?’ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
যেহেতু
যৌবনে মানুষ সবছে’ বেশি কাজ করতে
পারে, তার শক্তিও থাকে অফুরন্ত, তাই
বিশেষভাবে এ সময়ের হিসাব চাইবেন
আল্লাহ তায়ালা। (৩) তৃতীয় ও চতুর্থ প্রশ্ন
হবে, ‘ধন-সম্পদ কোন পথে উপার্জন
করেছো?’ (৪) চতুর্থ প্রশ্ন, ‘কোন পথে
ধন
সম্পদ ব্যয় করেছো?’ (৫) পঞ্চম প্রশ্ন,
‘দীন
ইসলাম সম্পর্কে যতোটুকু জেনেছো,
সে
অনুযায়ী কত টুকু আমল করেছো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন